উইকেট উপহার দিয়ে এলেন মিঠুন

মোহাম্মদ শামির বলটা ভালোই বাউন্সি ছিল। তাতে মোহাম্মদ মিঠুন পারেননি লোভ সামলাতে। পুলশট খেলতে যান। কিন্তু ব্যাটে-বলে হলো না সংযোগ। তাতে সোজা মিড উইকেটের ওপর মায়াঙ্ক আগারওয়ালের হাতে বন্ধী হন। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান।

মুমিনুলও বেশিদূর যেতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে যাও টেনেটুনে ৩৭ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তার ধারে কাছেও যেতে পারলেন না মুমিনুল হক। ৭ রানের মাথায় মোহাম্মদ শামির বলে পরাস্ত হন তিনি। যদিও আম্পায়ার রড টাকার আউটের সিদ্ধান্ত দেননি। পরে ভারতীয় দলনেতা বিরাট কোহলি রিভিউর আবেদন করেন। তাতেই কাটা পড়লেন মুমিনুল।

রানের বোঝা নিয়ে সাত সকালেই বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। স্বাগতিকদের সেই সিদ্ধান্তের ফসল বোধ হয় হাতেনাতেই পেল তারা। দ্রুতই সাজঘরে ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলামকে।

অনেকে হয়তো ভেবেছিলেন তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনের কিছু অংশ মাঠে কাটাবে ভারত। কিন্তু হলো তার উল্টোটা। শনিবার (১৬ নভেম্বর) ইন্দোরে আগের দিনের রানেই ইনিংস ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা। অর্থাৎ ৬ উইকেটে ৪৯৩ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংসের ইতি টানল কোহলিরা। যার সু্বাদে বাংলাদেশের সামনে লিড দাঁড়ায় ৩৪৩ রান।

এর আগে বাংলাদেশের দ্বিতীয় দিনটাও কেটেছে হতাশায়। সকালটা রঙিন হলেও বিকেলটা শেষ হয়েছিল রাজ্যের চিন্তা মাথায় নিয়ে। তাতে এরিমধ্যে ইন্দোর টেস্টে বাংলাদেশ যে ব্যাকফুটে সেটা আর মুখ ফোটে বলতে চাননি কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও। তাইতো দ্বিতীয় দিনের ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তার চোখেমুখেও দেখা গেল চিন্তার ছাপ।

সিরিজের প্রথম টেস্টে ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। টাইগারদের হয়ে কেবল ব্যাট হাতে সাদামাটা পারফর্ম করেন মুশফিকুর রহিম। আউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে তিনি যোগ করেন ৪৩ রান। বাকিদের আসা-যাওয়ার মাঝে দলনেতা মুমিনুল হকের ৩৭ বাংলাদেশের সংগ্রহ বাড়াতে অবদান রাখে।

জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ৪৯৩ রান তুলেছিল ভারত। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ২৪৩ রান করেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৬ রান আসে অজিঙ্কা রাহানের ব্যাট থেকে। এছাড়া জাদেজার অপরাজিত ৬০ এবং পূজারার ৫৪ ভারতকে এনে দেয় বড়সড় সংগ্রহ।

আপনি আরও পড়তে পারেন