বিদেশে কর্মী পাঠানোর নামে ধোঁকাবাজি করলে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী

বিদেশে যাওয়ার আগে সব কিছু যাচাই-বাছাই করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধোঁকায় পরে কেউ কেউ তার ছেলে-মেয়ে এমনকি স্ত্রীকেও বিদেশ পাঠিয়ে দেয়। আবার অনেক স্বামী তার স্ত্রীকে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনাও আমরা পেয়েছি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের কোথাও যেন কেউ ধোঁকায় না পড়ে। যারা এমন করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধোঁকায় ফেললে দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো। পাশাপাশি বিদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিও একই কাজ করলে আমরা সেদেশের সরকারকে অনুরোধ করবো ব্যবস্থা নিতে যাতে এধরনের ঘটনা না ঘটে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০১৯’ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে বলবো তারা যেন শুধু অর্থ উপার্জনের দিকে দৃষ্টি দিয়ে কর্মীদের অযথা বিদেশে না পাঠায়। আমাদের গ্রাম-বাংলার মানুষ কিছু কিছু সময় দালালের খপ্পরে পড়ে যায়। সোনার হরিণের খোঁজে সব কিছু বিক্রি করে বিদেশ চলে যায়। যেহেতু এখন রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ আছে, চাকরি থেকে শুরু করে সব কিছু যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ আছে তাই ভালো করে যাচাইবাছাই করে নেবেন। এর পরেও কিছু লোক ধোঁকায় পড়ে চলে যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, এখন থেকে বিদেশ যেতে হলে প্রশিক্ষণ নিয়ে যেতে হবে। প্রশিক্ষণ না নিয়ে আর কাজের জন্য বিদেশে যাওয়া যাবে না। এ দিকে আমরা ব্যাপক নজরদারি করছি। এর আগে আমরা লক্ষ্য করেছি, অনেকেই প্রশিক্ষণ না নিয়ে প্রশিক্ষণের কথা বলে বিদেশ যেত। কিন্তু এখন থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া ছাড়া আর যাওয়া যাবে না। প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক। এজন্য আমি প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বলবো, আরও বেশি গভীরভাবে নজর দিতে যেন তারা সঠিক প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশে যায়।

বিমানবন্দরে প্রবাসী কর্মীদের হয়রানি বন্ধে নজরদারি আরও শক্তিশালী করা হবে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা কর্মীদের জন্য স্মার্ট কার্ডের ব্যবস্থা করেছি। স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কিন্তু বিমানবন্দরে কর্মীর এম্বারকেশন কার্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রিন্ট হয়ে যায়। যার ফলে বিমানবন্দরে কর্মীদের হয়রানি বন্ধ হবে। কর্মীরা যেন ফিরে আসার সময় বিমানবন্দরে হয়রানি না হয়। কারণ সেখানে কিছু কর্মচারী থাকেই যাদের কর্মীর কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার প্রবণতা থাকে। সেজন্য আমরা অভিবাসী কর্মীদের জন্য আলাদা ডেস্কের ব্যবস্থা নিচ্ছি। সেখানে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা আছে এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগানো আছে। সেখানে কিছু হলে আমরা যাতে সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারি এবং সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা যাতে নিতে পারি সে পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। এটাকে আরও শক্তিশালী করা হবে।

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন