শনিবার শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২১ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এটি নির্মিত হলে বছরে আরও অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে।

বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব এম মহিবুল হক বিমান বন্দরটি (হিসা) পরিদর্শন শেষে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২১ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এরমধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে পাওয়া যাবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে পাওয়া যাবে। ২০২৩ সাল নাগাদ প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) বৈঠকে ১৩ হাজার ৬১০ দশমিক ৪৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। তবে পরবর্তীতে একটি পৃথক কার্গো হাউজ স্থাপনসহ প্রকল্প কাজের কিছু অংশ বর্ধিত করায় মোট প্রকল্প ব্যয় বেড়ে ২১ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা হয়েছে।

পর্যটন সচিব জানান, রফতানি ও আমদানি কার্গো হাউজ পৃথক করা এবং নতুন ভিআইপি টার্মিনাল করায় প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। জাপান ভিত্তিক কনসালট্যান্ট ফার্ম সিএএবিসহ জাইকা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কনসালটেশনের ভিত্তিতে পরিকল্পিতভাবে এবং হিসাব করেই এই ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গত ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পের বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, জাপানের মিটসুবিশি এবং ফুজিতা ও কোরিয়ার স্যামসং একটি কনসোর্টিয়ামের অধিন এই নির্মাণ কাজটি করবে।

নতুন আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালটি হবে ২২ দশমিক ৫ লাখ বর্গফুট। বর্তমানে হিসার দুটি টার্মিনালে ১০ লাখ বর্গফুট স্পেস রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিমানবন্দরের বর্তমান যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে ২ কোটি হবে এবং কার্গো ক্যাপাসিটি বর্তমান দুই লাখ টন থেকে বেড়ে পাঁচ লাখ টন হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কামটির চেয়ারম্যান আরএএম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো এবং জাইকা,র মুখ্য প্রতিনিধি হিতোশি হিরাতা।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিমানের দুটি নতুন ড্রিমলাইনার বোয়িং ৭৮৭-৯ এবং বিমানের একটি নতুন মোবাইল অ্যাপও উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। খবর বাসস।

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন