এবার শিক্ষার্থীর মাকে ধর্ষণ করলেন শিক্ষক!

ছাত্রীকে শিক্ষক ধর্ষণ করেছেন-এমন খবর প্রায়ই পত্রিকার পাতায় পাওয়া যায়। কিন্তু শিক্ষার্থীর মাকে শিক্ষক ধর্ষণ করেছেন এমন খবর খুবই কমই পাওয়া যায়। এবার এমনই ঘটনা ঘটেছে বড়াইগ্রামে। ওই এলাকার আনিসুর রহমান নামে এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে মোবাইলে ডেকে নিয়ে এক শিক্ষার্থীর মাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, থানায় যেতে না দিয়ে চাপের মুখে আপস মীমাংসার নামে বাবার বাড়ি যেতে বাধ্য করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গ্রামপ্রধানরা।

অভিযুক্ত আনিসুর রহমান মাঝগ্রামের সাদেকুর রহমান মুন্সীর ছেলে। তিনি মাঝগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত।

জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আনিসুর রহমান ওই নারীকে ছেলের লেখাপড়া বিষয়ে কথা বলার জন্য মোবাইলে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে ডেকে নেন। পরে সেখানে বাড়ির সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে আনিস তাকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এ সময় প্রতিবেশীরা তার ডাক চিৎকারে এগিয়ে এসে আনিসকে হাতেনাতে আটক করেন। কিন্তু খবর পেয়ে আনিসের স্বজনরা এসে হুমকি-ধামকি দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

পরের দিন ওই নারীর বাবাকে খবর দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বারের নেতৃত্বে স্থানীয় গ্রামপ্রধানরা নামকাওয়াস্তে বিষয়টি মীমাংসা করেন এবং ওই নারীকে তার বাবার সঙ্গে চলে যেতে বাধ্য করেন।

এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আনিস পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে মাঝগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুস্তম আলী মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আনিস শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছুটিতে আছেন।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস বলেন, ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন