আবার ‘মিস্টার ইন্টারফেয়ারার’ হবেন বিসিবি প্রধান

আইসিসি ট্রফি জয়, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল, নারীদের এশিয়া কাপ জয়- সবকিছু ছাপিয়ে গেছে এই শিরোপা। ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জেতা বাংলাদেশ দল দেশে ফিরেছে। এ নিয়ে উদ্‌যাপনের শেষ নেই। ফুলেল অভ্যর্থনা ও কেক কেটে যুবাদের বরণ করে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের নিয়ে আসার পর বিসিবি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উঠেছিল জাতীয় দলের প্রসঙ্গ। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কিছুটা বিরক্তিই প্রকাশ করলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।

বেশ কিছু দিন থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান দাবি করছেন, তিনি ক্রিকেটের সঙ্গে খুব বেশি জড়িত নন, নিজস্ব কোনো সিদ্ধান্ত দলের ওপর চাপিয়ে দেন না আর সে কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বিবর্ণ অবস্থা। তবে মুমিনুল হক-মাহমুদউল্লাহদের এমন হতশ্রী দশা মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তাই খুব শিগগিরই আবারও ক্রিকেটের সব বিষয়ে নিজেকে জড়িত করতে যাচ্ছেন বিসিবি সভাপতি। এতে কেউ তাকে ‘মিস্টার ইন্টারফেয়ারার’ (হস্তক্ষেপকারী) কিংবা এমন কোনো নামে ডাকলেও বিচলিত হবেন না তিনি।

বিসিবি সভাপতি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেট বিষয়ক দায়িত্বটা সবচেয়ে বেশি নাজমুলের। কিন্তু একজন বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে যা দায়িত্ব পালন করার কথা, তার চেয়েও ঢের বেশি করে থাকেন তিনি। তাই মাঝে-মধ্যেই পত্রিকার শিরোনাম হন। বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কারণে ‘মিস্টার ইন্টারফেয়ারার’ তকমাও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু নাজমুল এসব সমালোচনার পরোয়া করছেন না আর। দেশের ক্রিকেটের মঙ্গলের জন্য নিজের আরও বেশি জড়িত থাকা উচিত বলে মনে করছেন বিসিবি সভাপতি।

গত এক বছর ধরে, বিশেষ করে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর থেকেই ব্যর্থতার চাদরে আবৃত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। আর এ দলটাকে বড্ড অচেনা মনে হচ্ছে নাজমুলের কাছে।

তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য তো ছিল অনেক কিছুই। কিন্তু ছন্দপতন হয়েছে। যেটা বললাম, গত বিশ্বকাপের পর থেকেই অন্যরকম দেখতে পেয়েছি। বিশ্বকাপে তো সাকিব (আল হাসান) একাই টেনে নিয়ে গেছে। টিম ওয়ার্ক আমরা পাইনি। এরপর তো যাচ্ছেতাই অবস্থা। আমার তো মনেই হয় না যে এটা বাংলাদেশ দল।’

জাতীয় দলের বর্তমান দুরবস্থার কারণেই নিজেকে আবারও সক্রিয় করতে যাচ্ছেন নাজমুল, ‘একটু তো হোঁচট খাচ্ছিই। এজন্য সবচেয়ে বড় দায়টা আমার নিজেরই। আমি একটু বেশিই ক্রিকেট থেকে সরে এসেছিলাম। সরে আসতে চাচ্ছিলাম আর কী। ভেবেছিলাম, অনেক হয়েছে, আস্তে আস্তে নিজেরাই সব করতে পারবে। এখন দেখছি, আবার আগের মতো হয়ে যেতে হবে। ওই যে আপনারা নাম দিয়েছিলেন না “মিস্টার ইন্টারফেয়ারার”। ওইরকম আবার মনে হয় একটা নাম হতে যাচ্ছে।’

একসময় দলের সব সিদ্ধান্তে জড়িত থাকলেও এখন যে তিনি নেই সেটা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বোর্ড সভাপতি বলেছেন, ‘টসে জিতলে কী নিব, স্কোয়াড কী হবে, কে কত নম্বরে নামবে, এসব আমার সঙ্গে আগেই কথা হতো। সেটা এখন কিন্তু নাই। এখন আরও উল্টো হয়। আমাকে যদি বলে টসে জিতে ফিল্ডিং নিব, খেলা শুরু হওয়ার পর দেখি ব্যাটিং নেয়। তো আমি কিছু বুঝি না। এটা শুরু হয়েছে ভারত সফর থেকে। এর আগে ধাক্কাটা খেয়েছি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে। তখন আমি দেশের বাইরে ছিলাম। যা বলে গেলাম, হয়েছে তার পুরাই উল্টো।’

আপনি আরও পড়তে পারেন