তরুণ সমাজকে শুধু ডিগ্রী নিয়ে থাকলে চলবে না- এমন পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারিগরি শিক্ষাকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি, ভোকেশনাল ট্রেনিং এ আমরা গুরুত্ব দিয়েছি, আমরা প্রতিটা উপজেলায় কারিগরি স্কুল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। দেশে বিদেশে যেখানেই যাক না কেনো সবাই এখন দক্ষ জনশিক্তি চায়। তাই এমন কাজের উদ্যোগ জনগণ অবশ্যই সুফল ভোগ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, অনেকে অ্যাকাডেমিক পড়াশুনা শেষ করে চাকরির পেছনে ছুটেন। কিন্তু চাকরির পেছনে না ছুটে তারা ঋণ নিয়ে উদ্যোক্তা হতে পারেন। আমরা উদ্যোক্তাদের ঋণের টাকা ফেরতের ক্ষেত্রে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিট নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি।
ব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শিল্প মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনা বলেন, উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমানভাবে এগিয়ে আসুক। দেশে আরও বেশি করে নারী উদ্যোক্তা তৈরি হোক। আমরা এখানে একটু বেশি আগ্রহী হতে চাই।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) আমাদের দেশে অনেক বড় অবদান রেখে গেছে। এখানে ৮ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।আমরা চাই আমাদের দেশটা এগিয়ে যাক। প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলার পাশাপাশি রপ্তানিমুখী পণ্যের চাহিদা পূরণেও এগিয়ে আসতে হবে।
মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি হয়েছে উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার নিজের দেশে বাজার সৃষ্টি করতে হবে। খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্যের চাহিদা বাড়বে।ইতিমধ্যে ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এই শিল্পর ১৭৭ টি ক্লাস্টার তৈরি করেছে,এছাড়া উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, স্বল্প সুদে অর্থায়ন সৃষ্টির কার্যক্রমও তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই কাজে অবকাঠামোগত উন্নয়নে যা দরকার আমরা তাই করব। আমাদের নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ এখন আর সস্তা শ্রমের দেশ নয়। আগে একসময় বাংলাদেশ সস্তা শ্রমের দেশ ছিল। এখন আমাদের দেশের লোকজন অনেক দক্ষ হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন ট্রেনিংয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ কারিগর তৈরি করছি। এখান থেকে দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে গিয়ে ভালো বেতনের চাকরি করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসছে, এজন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। ডিজিটাল ট্রেনিং গ্রহণ করতে হবে। শুধু একটা সাবজেক্টে পাস করে বসে থাকলে হবে না। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুবকদের এগিয়ে যেতে হবে। তাকে নানা উদ্যোগ নিতে হবে।
গবেষণার মাধ্যমে পণ্যের চাহিদা, পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে তথ্য সমন্বয় করতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও উদ্যাক্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।
এসএমই পণ্য মেলা-২০২০ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৫ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাকে পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
www.youtube.com/watch?v=ZRXgvWclB2A