সিঙ্গাপুর থেকে মোংলা বন্দরে আসা জাহাজ নিয়ে সন্দেহ

ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা মোংলা বন্দরে নোঙর করা একটি জাহাজে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নাবিক আছে- এমন সন্দেহ থেকে জাহাজটির পণ্য খালাস বন্ধ রাখা হয়েছে।

সেরেনিটাস এন নামের জাহাজটি মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী। ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা বোঝাই করে সিঙ্গাপুর ও চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে বুধবার রাতে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায় জাহাজটি।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বুধবার রাতেই জাহাজটি বন্দর জেটি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরবর্তী হারবাড়িয়া নামক এলাকায় নোঙর করে।এলাকাটি সুন্দরবনের প্রবেশপথ হিসেবে পরিচিত। সুন্দরবন ভ্রমণকারী পর্যটকবাহী নৌযানগুলো সাধারণত এই হারবাড়িয়া পয়েন্ট থেকেই জঙ্গলে প্রবেশ করে।

মোংলা বন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুফিয়া বেগম বলেন, জাহাজের তিনজন ক্রুর শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে। তিনজনই ফিলিপাইনের নাগরিক।

বুধবার রাতে জাহাজটি মংলা বন্দরের নোঙর করার পর বন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে তিনজন ক্রুর দেহে উচ্চমাত্রা শনাক্ত করেন। এরপর বিষয়টি জানানো হয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর)।

আইইডিসিআর-এর পরামর্শে জ্বরে আক্রান্ত নাবিকদের জাহাজের ভেতরে তিনটি আলাদা কক্ষে রেখে স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সুফিয়া বেগম জানিয়েছেন, তিনজন ক্রুর মধ্যে দুজনের দেহের তাপমাত্রা গতরাতের তুলনায় কমলেও একজনের দেহে এখনো উচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস পর্যবেক্ষণের জন্য ক্রুদের দেহ থেকে কোনো নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। এখন তাদের আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

মোংলা বন্দরের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদ বলেন, জাহাজটি কয়লা নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম হয়ে মোংলা বন্দরে আসে। এই জাহাজের ক্যাপ্টেন একজন গ্রিক এবং ক্রুদের অনেকেই ফিলিপিনো। সবমিলিয়ে জাহাজটিতে ২০ জন ক্রু রয়েছেন।

জাহাজে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরেই পণ্য খালাস শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন