জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়াবাসী

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরের দক্ষিণ এলাকায় টানা প্রবল বর্ষণে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।

পরিবার পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।

গত একমাস ধরে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদর গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। বসত বাড়িতে পানি জমে থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। উঠান জুড়ে হাটু পানি, স্বাভাবিক চলাচল ও দৈনন্দিন কাজকর্ম এভাবেই করতে হচ্ছে তাদের। পানি জমে থাকায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া হাটু পানি ভেঙে ঘর থেকে বের হচ্ছে না অনেকেই। আবার অনেকেই উঠোনে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করছেন। গত এক সপ্তাহে এ উপজেলায় ভারি বর্ষণে এ মন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গত একযুগেও এমন বৃষ্টিপাতের কবলে পড়েনি ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখো গেছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না রেখে যত্রতত্র কৃষি জমিতে বাড়িঘর নির্মাণ এবং মাটি ভরার্ট করায় কালভার্টগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।

ব্রাহ্মণপাড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের পানিবন্দি বাসিন্দা রশিদা বেগম জানান, পানির কারণে এমন সমস্যা ঘর থেকে বের হবার সুযোগ নাই। পাকের ঘরে (রান্না ঘর) জলাবদ্ধতায় রান্না করার পরিবেশ নাই। অনেক কষ্ট করে রান্না করতে হয়। এভাবে ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে জীবন যাপন করা কষ্টকর। ছোট বাচ্চদের নিয়েও সব সময় চিন্তায় থাকতে হয় আমাদের। ঘর থেকে বের হলেই পানি। উঠানে এখনো হাটু পানি। গত একমাস যাবত প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে আসছি আমরা।

মোহাম্মদ হোসেন মাস্টার জানান, সমস্ত এলাকায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আছে। সরকার যে কালর্ভাট করে দিয়েছে সেগুলোর মুখ সব বন্ধ। আশপাশের ডোবা ও পুকুরগুলো ভরাট হয়ে গেছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে আমরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়বো।

ফজলুল হক জানান, আমাদের এই এলাকায় যে বৃষ্টির কারণে  জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে তা যদি নিষ্কাশন করা না হয় তাহলে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বো। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন