চোরাচালান রোধে বিমানবন্দরে আরও স্ক্যানার বসাবে এনবিআর

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব  আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও চোরাচালান রোধে একাধিক অত্যাধুনিক স্ক্যানার বসাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বৃহস্পতিবার ঢাকা কাস্টমহাউসে আটক পণ্য খালাস ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সফটওয়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো: রহমাতুল মুনিম।

অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, যাত্রীদের ব্যাগেজ তল্লাশি ও নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন ধরণের স্ক্যানার প্রয়োজন। আমাদের কোথায় কি ধরণের স্ক্যানার মেশিন প্রয়োজন সেগুলোর তালিকা করা হচ্ছে। স্ক্যানার মেশিন বসানোর পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।

রাজস্ব আহরণে অটোমেশনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, অটোমেশনের ফলে যারা আমাদের সেবা নিচ্ছেন তারা যেমন সুফল পাবেন, তেমনি এনবিআর’ও সুফল পাবে। দেশ জুড়েই সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে অটোমেশনের হাওয়া লেগেছে। আমারা পিছিয়ে থাকতে পারবো না। এনবিআর থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে, যারা অটোমেশনের উদ্যোগ গুলো পর্যবেক্ষণ করবেন, অটোমেশনের ক্ষেত্রে এনবিআর এর নিজস্ব জনবলের মাধ্যমেও বিভিন্ন সফটওয়ার তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান।

করোনা কালীন রাজস্ব আহরণের পদ্ধতিকে সহজ করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি সহজ করা। কত টাকা পেলাম, কত টাকা পেলাম না এটা নিয়ে এখন ভাবছি না। রাজস্ব আহরণের নেট বাড়ানো ও  রাজস্ব ফাঁকির রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রাজস্ব আহরণের টার্গেট নয়, আমরা কি করতে চাই সেই টার্গেট নিয়ে এগুতে চাই।  আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ  করতে পারলে রাজস্ব  আহরণ লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যাবে।

এনবিআর-এ শুদ্ধাচার আনার চেষ্টা তিনি আরো বলেন, অনেকে কাস্টম হাউসে সিনিয়র অফিসারদের নজরদারি কম থাকার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। বেনাপোল কাস্টম হাউস থেকে স্বর্ণ চুরির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে গুদামের পণ্যের সঠিক হিসাব রাখা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাস্টম কমিশনারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। সম্প্রতি মাস্ক চুরি, গোডাউন থেকে মেমরি কার্ড গায়েব হওয়া ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। অনুষ্ঠানে এরবিআর চেয়ারম্যান ঢাকা কাস্টম  হাউসের  আটক পণ্যের ব্যবস্থাপনা সফটওয়ার উদ্বোধন করেন। এ সফটওয়ারের ফলে আটক করা অবৈধ পণ্য খালাস, শুল্ক আদায় ও মামলা সংক্রান্ত বিষয়গুলো লিপিবদ্ধ থাকবে। ফলে গুদাম থেকে মালামাল গায়েব হওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস পাবে বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে ঢাকা কাস্টমস হাউস কমিশনার মো. মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন কাস্টম হাউসের কমিশনার ও এনবিআর সদস্যরা তাদের মতামত দেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন