এফডিসি কারো নিজস্ব সম্পত্তি নয়: জায়েদ খান

আমি নিজেই জানি আমি নিষিদ্ধ হচ্ছি। এটা হাস্যকর। একজন নির্বাচিত প্রতিনিধিকে নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা কারও নেই। তাছাড়া এফডিসি কারো নিজস্ব সম্পত্তি নয়, যে কেউ আমাকে নিষিদ্ধ করলেন আর এফডিসিতে ঢুকতে পারলাম না। আমি তো গতকালই সাদেক বাচ্চু ভাইয়ের মিলাদ শেষ করে আসলাম। আজ সমিতির কাজে আবারো যাব।’এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠন একত্রে  চলচ্চিত্রের স্বার্থবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে জায়েদ খানকে এফডিসিতে নিষিদ্ধ করে। অন্যদিকে মীমাংসা না করেই মিশা সওদাগর আমেরিকায় যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে করে সংগঠনগুলো। এমনই তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু।

খসরু বলেন, ‘জায়েদ খান যেন এফডিসিতে ঢুকতে না পারেন সে জন্য এফডিসির এমডি বরাবর লিখিত আবেদন জানানো হবে। সম্মিলিতভাবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যায়কারী যেই হোক তাকে শাস্তি পেতে হবে।’

এর আগে চলচ্চিত্র সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে চলচ্চিত্রের স্বার্থবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে বয়কট করে সংবাদ সম্মেলন করে চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়, ক্ষমতা ব্যবহার করে চলচ্চিত্রের ১৮৬ জন শিল্পীকে বহিষ্কার করেছেন জায়েদ খান। আর এ কাজে সহযোগিতা করেছেন সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।

গেল ১৯ জুলাই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৮৪ জন অভিনয় শিল্পীর ভোটধিকার অন্যায়ভাবে কেড়ে নিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান- এমন অভিযোগে তাদের পদত্যাগ চেয়ে রাস্তায় নামেন ভোটাধিকার হারানো শিল্পীরা।

এদিন এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র শিল্প রক্ষার দাবি তুলে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন।

আপনি আরও পড়তে পারেন