আটকে থাকা ছবিগুলোর কী হবে

 

প্রেক্ষাগৃহ খুললে তৈরি হতে পারে ছবি মুক্তির জট

 

 

দেশে প্রেক্ষাগৃহ খুলে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত পাকা। কিন্তু কী চালানো হবে সেখানে? লোকসানের শঙ্কায় মুক্তির জন্য প্রস্তুত বড় বাজেটের ছবিগুলো এই অবস্থায় হলে আনতে চান না প্রযোজকেরা। এ ছাড়া ধারণা করা হচ্ছে, প্রেক্ষাগৃহ খুললেও শিগগিরই দর্শক ফিরবেন না সেখানে। সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও বেশ কিছুদিন। তাহলে মুক্তির জটে থাকা ছবিগুলোর কী হবে?

প্রযোজক পরিবেশক সমিতির হিসাব মতে বিশ্ব সুন্দরী, শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু, বিদ্রোহী, উনপঞ্চাশ বাতাস, নারী শক্তিসহ প্রায় ২২টি ছবি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। সেন্সরের জন্য প্রায় প্রস্তুত মিশন এক্সট্রিম, মিশন এক্সট্রিম টু, শান, পরান, জ্বীন, বিক্ষোভ, ক্যাসিনো, আনন্দ অশ্রুসহ ডজনখানেক ছবি। শুটিং প্রায় শেষের পথে এ রকম ছবির তালিকায় রয়েছে অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন, অপারেশন সুন্দরবন, ওস্তাদ, আদম, টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই, গিরগিটি, সিক্রেন্ট এজেন্ট, ইত্তেফাকসহ প্রায় ১০টি ছবি। এ ছাড়া শুটিং শুরু করার অপেক্ষায় রয়েছে সরকারি অনুদানে নির্মিতব্য আরও বেশ কয়েকটি ছবি। সব মিলিয়ে মুক্তির জটে রয়েছে অর্ধশতাধিক সিনেমা।

প্রযোজক পরিবেশক সমিতির হিসাব মতে, প্রায় ২২টি ছবি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। সেন্সরের জন্য প্রায় প্রস্তুত ডজনখানেক ছবি। শুটিং প্রায় শেষের পথে প্রায় ১০টি ছবি। এ ছাড়া শুটিং শুরু করার অপেক্ষায় রয়েছে সরকারি অনুদানে নির্মিতব্য আরও বেশ কয়েকটি ছবি। সব মিলিয়ে মুক্তির জটে রয়েছে অর্ধশতাধিক সিনেমা।

বেশির ভাগ প্রযোজকের ইচ্ছা, করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে কয়েক মাস পর ছবিগুলো প্রেক্ষাগৃহে তুলবেন। অন্যদিকে বড় বাজেটের বেশ কিছু নতুন ছবি এ বছর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির সম্ভাবনা কম। আবার নতুন ছবি না পেলে লোকসানের আশঙ্কায় অনেক মালিক হল খুলবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। সময়মতো মুক্তি দেওয়া না হলে ঢালিউডের ছবি মুক্তির প্রক্রিয়ায় ছন্দপতন হতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও একটা সময় জমে থাকা অর্ধশতাধিক ছবির জট বেঁধে যেতে পারে। সেসব ছবি মুক্তি পেতে দুই বছরও লেগে যেতে পারে। তত দিনে ছবিগুলোর গল্প হারাতে পারে সমসাময়িকতা। হারিয়ে যেতে পারে দর্শকের আগ্রহ। ফলে লোকসানের মুখে পড়তে পারেন প্রযোজক। পরিস্থিতি তাহলে কী দাঁড়াবে? জানতে চাইলে প্রদর্শক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, কিছুই করার নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সপ্তাহে দুটির বদলে চারটি করে নতুন ছবি মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। এতে জট কিছুটা হলেও কমতে পারে।

সপ্তাহে চারটি ছবি মুক্তির প্রস্তাবকে কীভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ছবি মুক্তির জট কমাতে সপ্তাহে চারটি নতুন ছবি মুক্তি দেওয়া যেতেই পারে। নয়তো জমে থাকা ছবিগুলো মুক্তি দিতে ২০২২ সালও লেগে যেতে পারে। তবে এ রকম উদ্যোগে প্রযোজকের ক্ষতির আশঙ্কা নিয়েও ভেবেছেন তাঁরা। খসরু বলেন, এই প্রক্রিয়াতে প্রযোজকদের ক্ষতি হবে কি না, সেটাও ভাবতে হবে। কারণ, হলসংখ্যা সীমিত। ভাগাভাগি বেশি হওয়ার কারণে এক একটি ছবির জন্য বরাদ্দ করা হলও কমে যাবে। পাশাপাশি বেশি ছবির কারণে দর্শক ভাগ হয়ে যাওয়ায় প্রযোজকদের আয়ও কমে যেতে পারে। এ জন্য ভেবেচিন্তে, পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে

আপনি আরও পড়তে পারেন