তারেক আহমেদ ; টাঈাইল-ঃ
লাল ইট দ্বারা নির্মিত এই মসজিদটি আকারে বেশ ছোট, মাত্র ১৮.২৯ মিটার (৫৯ ফুট) x ১২.১৯ মিটার (৪০ ফুট) এবং দেয়ালের পুরুত্ব ২.২৩ মিটার (সাড়ে ৭ ফুট)।এর চারকোণে ৪টি অষ্টকোণাকৃতীর মিনার রয়েছে, যার উপরের অংশটি ছোট গম্বুজের আকৃতি ধারণ করেছে। সুলতানি ও মুঘল – এই দুই আমলেরই স্থাপত্যরীতির সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে এই মসজিদের নির্মাণ শৈলীতে।
নকশা, অসংখ্য ফুলের অলংকরণের কারণে আতিয়া মসজিদ বেশ দৃষ্টিনন্দন। এ ধরনের অলংকরণ ষোলো শতকে নির্মিত গৌড়ের জাহানিয়া মসজিদ ও কদম রসূল ইমারতে পরিলক্ষিত হয়। আতিয়া মসজিদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য এর কুঁড়ে ঘরের কার্নিসের ন্যায় ধনুক বক্রাকার কার্নিস যা সম্পূর্ণরূপে বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্যরূপে পরিগণিত। বস্তুত বাঁশের চালাঘর থেকে ইটের নির্মাণে এ ধরনের উদ্ভাবন শিল্পমানে আকর্ষণীয় বলে বিবেচিত।
একসময় বাংলাদেশে প্রচলিত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মুদ্রিত ১০ (দশ) টাকা মূল্যমানের নোটের একপার্শ্বে আতিয়া মসজিদের ছবি ছিল।