শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় শিশুদের অস্থিরতা বেড়েছে

করোনা পরিস্থিতিতে মাসের পর মাস বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চার দেয়ালে বন্দি শিশুদের মনোজগতে দেখা দিচ্ছে নানা পরিবর্তন। মনোবিদরা বলছেন, বাধা পেতে পারে মানসিক বিকাশ। শিশুদের অস্থিরতা বেড়েছে, বলছেন অভিভাবকরা। আর ক্লাসে ফিরতে উদগ্রীব শিক্ষার্থীরা।

স্কুল ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়ানো শিক্ষার্থী ঐহী’র জীবন গেল সাত মাস থেকে চার দেয়ালে বন্দি। অফুরন্ত সময় কাটে মোবাইল গেম, কার্টুন ও ঘরে বসে থেকে। স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় তার মতো অনেক শিক্ষার্থীরই হাঁপিয়ে উঠেছে বদ্ধ ঘরের রুটিনে। একটুতেই অস্বস্তি ও বিষন্নতা ভর করেছে তাদের।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হতে পারে।

রাজশাহী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগ সহকারী অধ্যাপক ড. নিতাই কুমার সাহা বলেন, শিক্ষার্থীদের তার সহপাঠীদের সাথে মেলামেশা করতে দেয়া এবং স্কুল খুলে দেয়া যায় তাহলে এ জায়গা থেকে বের হয়ে আসা যেত।

স্কুল কলেজে ক্যম্পাসের উন্মুক্ত জীবন ছেড়ে বদ্ধ জীবনে আচরণগত নানা অসঙ্গতিও খেয়াল করছেন অভিভাবকরাও।

অভিভাবকরা জানান, তারা একটুতে মেজাজ হারিয়ে ফেলছে। তাদের মধ্যে ভীষণ অস্থিরতা কাজ করছে, হতাশা দেখা যায়।

আর, এমন চার দেয়ালের জীবন ছেড়ে ক্লাসে ফিরে স্বাভাবিক পড়াশোনায় ফিরতে উন্মুখ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুল আমাদের ভালো লাগার জায়গা। বন্ধুদের সাথে দেখা হয়। এছাড়াও শৃঙ্খলার মধ্যে জীবন যাপন করা যায়। দিনের পড়া ওইদিন শেষ হয়।

করোনা সংক্রমণের কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন