এগিয়ে থেকেও হারলো ৯ জনের পিএসজি

নেইমার আগে থেকেই ছিলেন না, কিলিয়ান এমবাপেকেও ম্যাচের আগে চোটের কারণে হারিয়ে ফেলেছিল পিএসজি। দলের মূল দুই ভরসা ছাড়া জার্মানিতে নাজেহাল হয়ে আরও একবার হার সঙ্গী হয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালিস্টদের। শুরুতে এগিয়ে গিয়েও উলিয়ান নাগেলসমানের লাইপজিগের কাছে হেরেছে থমাস তুখলের পিএসজি। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন ইদ্রিসা গায়া ও প্রেসনেল কিমপেম্বে, তাই পিএসজি ম্যাচ শেষ করেছে ৯ জন নিয়ে।

চলতি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে চেনা ছন্দে নেই প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল) জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে ধাক্কা খেয়ে শুরুর পর ইস্তানবুল বাসেকসেহিরের বিপক্ষে পূর্ণ পয়েন্ট পায় তারা। এবার তৃতীয় ম্যাচে এসে রেড বুল এ্যারেনায় ২-১ গোলে আরবি লাইপজিগের কাছে হারলো গতবারের ফাইনালিস্টরা।

৬৯ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইদ্রিসা গিয়ে। একজন কম নিয়ে খেলা দলটি শেষ পর্যন্ত আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তিন পয়েন্ট নিয়ে এইচ গ্রুপের তৃতীয় স্থানে আছে টমাস টুখেলের শিষ্যরা। অন্যদিকে ৬ পয়েন্টে লাইপজিগের অবস্থান তালিকার দুইয়ে।

প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় পিএসজি। ষষ্ঠ মিনিটে ময়জে কিনের অ্যাসিস্টে ঠিকানা খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন তারকা খেলোয়াড় অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। ৮ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পায় লাইপজিগ। এ যাত্রায় দলকে হতাশ করেন আমাদু হায়দারা।

এর ঠিক ৮ মিনিট পর পিএসজিকে দ্বিতীয় গোল থেকে বঞ্চিত করেন ডি মারিয়া। স্পট কিকে জাল কাঁপাতে ব্যর্থ হন এই এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। এর আগে ডাওটের হাত ছুঁয়ে গেলে পেনাল্টি পায় তারা। ৪১ মিনিটে সমতায় ফেরে লাইপজিগ। অ্যাঞ্জেলিনোর ক্রস থেকে দুর্দান্ত শটে লক্ষ্যভেদ করেন ক্রিস্টোফা এনকুনকুকে।

৫৭ মিনিটে জয়সূচক গোলটি পায় লাইপজিগ। ডি বক্সে থাকা প্রেসনেল কিম্পেম্বের হাতে বল লাগলে ভিআরের মাধ্যমে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। যে সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি এমিল ফোর্সবার্গ। ম্যাচের বাকি সময়ে উভয় দল প্রতিপক্ষ শিবিরে হানা দিলেও জালের দেখা পায়নি।

পিএসজির আরও একটি হারের পরও অবশ্য আশাহত হচ্ছেন না থমাস তুখল। নাগেলসমান তার ভাবশিষ্য, কোচিং-এ তার যাত্রাটাও শুরু হয়েছিল তুখলের হাত ধরে। তার লাইপজিগের কাছে হারটা বড় ক্ষতই তৈরি করার কথা তুখলের মনে। তবে তুখল বলছেন অন্য কথা, ফিরতি লেগে লাইপজিগকে হারাতে পারলেই পাশার দান বদলে যাবে বলে বিশ্বাস তার, “না, আমরা মোটেই ঝুঁকিতে নেই। আমরা এমন দলের বিপক্ষে খেললাম যারা এক সপ্তাহ আগেও বুন্দেসলিগায় শীর্ষে ছিল। ওরা খুবই শক্তিশালী, তবে আমরাও ম্যাচে ২-০ তে এগিয়ে যেতে পারতাম।”

“প্যারিসের কোচ হওয়াটাই এমন কঠিন। আমার মনে হয় প্রেস এবং আশেপাশের পরিবেশ আমাদের পক্ষে থাকে না। তবে তাতে আমার কাজের ধরন তো আর বদলায় না। আমরা আবার চেষ্টা করব। প্রাক ডি প্রিন্সেসে জিতে গেলে পুরো পরিস্থিতি আবার পালটে যাবে।”

আপনি আরও পড়তে পারেন