জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ-ডেনমার্ক

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ-ডেনমার্ক

পানি শোধন, বর্জ্য ও বিষাক্ত পানি ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সৌর শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোসহ জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে ডেনমার্ক একযোগে কাজ করবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন এসব বিষয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনাকালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে গ্রিন পোর্টে পরিণত করার বিষয়ে সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জন, প্রতিবেশ রক্ষা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে ডেনমার্ক। জ্বালানি দক্ষতা অর্জন, কৃষিসহ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতার প্রস্তাব করেন তিনি।

জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই ডেনমার্ক বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ক্লাইমেট ভালনারেবলিটি ফোরাম এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া গ্লোবাল সেন্টার অব অ্যাডাপটেশন এর আঞ্চলিক অফিস ঢাকায় স্থাপনের ফলে বাংলাদেশ জলবায়ু ইস্যুতে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।

সভায় দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে একসাথে এগিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর করার বিষয়েও দু’জন একমত পোষণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ, বন ও উজলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মাহমুদ হাসান ও অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজীন ও ডেনমার্ক দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আলি মুসতাক বাট।

আপনি আরও পড়তে পারেন