কাবুলে ট্যাটু বিপ্লবের মুখ সোরায়া শাহিদি!

কাবুলে ট্যাটু বিপ্লবের মুখ সোরায়া শাহিদি!

ইসলামি দুনিয়ায় ট্যাটু-বিতর্ক খুব পুরোনো। সেই বিতর্কেই নতুন সংযোজন সোরায়া শাহিদি। কাবুলে তার একটি সালোঁ চালান তিনি। মূলত ট্যাটু-শিল্পী সোরায়া সালোঁতে মহিলাদের শরীরে এঁকে দেন ট্যাটু।

যদিও এ নিয়ে বহুদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। বড় বড় ইসলামি পণ্ডিতেরাও জানিয়েছেন, ইসলামে ট্যাটু ট্যাবু। সোরায়ার দাবি, অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে গিয়ে আজ দেশের প্রথম মহিলা ট্যাটু-শিল্পী তিনিই।

এত লড়াইয়ে না গিয়ে সোরায়া বিদেশেও তার শিল্পকর্ম নিয়ে রয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি ভেবেছিলেন, কেন শুধু ছেলেরাই ট্যাটুর মজা নেবেন, তিনি তার দেশের মেয়েদের সামনেও ট্যাটু উপভোগের পথ খুলে দেবেন। তাই অনেক বাধার মুখে পড়েও নিজের দেশেই তিনি সালোঁ খুলে ফেললেন।

এখন অবশ্য তার অভিজ্ঞতা অন্যরকমই। তিনি দেখছেন, দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ট্যাটু ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কাবুলকন্যারা দিব্যি আসছেন তার কাছে। শরীরে করিয়ে নিচ্ছেন পছন্দমতো নকশা। তবে এখনো পর্যন্ত সাবেকি নকশারই পক্ষপাতী তারা। নানা রকমের ফুল, প্রজাপতির ট্যাটুই বেশি পছন্দ করছেন তারা বলে জানান সোরায়া।

২৭ বছর বয়সের সোরায়া ট্যাটু-বিদ্যা রপ্ত করেছিলেন তুরস্ক এবং ইরানে। সোরায়া জানান, মৌলবাদীদের একাংশ ইসলামে ট্যাটুর স্থান নেই বলে ফতোয়া জারি করলেও বহু পণ্ডিত আবার তার সিদ্ধান্তকে সমর্থনও জানিয়েছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন