নিকের একাধিক প্রেম, ঘর ছাড়ছেন প্রিয়াঙ্কা?

নিকের একাধিক প্রেম, ঘর ছাড়ছেন প্রিয়াঙ্কা?

বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সাবেক এ বিশ্বসুন্দরী অনেক আগেই বি-টাউন ছেড়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমিয়েছেন। বলিউডের পাশাপাশি হলিউডেও কাজ করেছেন একাধিক। কাজের সূত্রেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় মার্কিন গায়ক নিক জোনাসের। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, তারপর বিয়ে।

২০১৮ সালে বয়সে ১০ বছরের ছোট নিক জোনাসকে বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কার ৩৬তম জন্মদিনে লন্ডনে আংটি বদল করেছিলেন তারা। আংটি বদলের খবর প্রকাশ্যে আসার পরপরই আলোচনায় এ জুটি।

২০১৭ সালে মেট গালা অনুষ্ঠানে লাল গালিচায় হাঁটার পর থেকেই তাদের নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। তারপর সমুদ্র ভ্রমণের কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়েছিল তাদের অন্তর্জালে। এ নিয়ে জল ঘোলা হয়েছিল সে সময়। তবে সব জল পরিষ্কার হয়ে যায় চার হাত এক হওয়ার পর। 

তবে প্রিয়াঙ্কা-নিকের সংসারে ভাঙনের সুর শোনা যাচ্ছে বলে খবর বেরিয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মুখরোচক কথাও উড়ে বেড়াচ্ছে বি-টাউনে। যদিও দুপক্ষের কেউ এগুলো একদম কান দিচ্ছেন না। কিন্তু তাদের ঘনিষ্ঠজনরা সেগুলো আবার উড়িয়েও দিচ্ছেন না। তবে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দুই পরিবারের লোকজন। 

সম্প্রতি, প্রিয়াঙ্কার স্বামী নিক জোনাসের সাবেক প্রেমিকাদের তালিকা প্রকাশ করেছিল বিদেশি একটি গণমাধ্যম। কলকাতার একাধিক গণমাধ্যমেও এ নিয়ে সংবাদ প্রচার হয়েছিল। তালিকায় দেখা গেছে, বয়সে বড় মেয়ের সঙ্গেই প্রেম করেছেন নিক। খবরটি নজরে পড়েছে প্রিয়াঙ্কার। বেজায় মন খারাপ করেছেন এ তালিকা দেখে।

তারপর থেকে স্বামীর সঙ্গে হয়তো মনোমালিন্য শুরু হয়েছে সুন্দরীর। তার জেরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একসঙ্গে ছবি দিচ্ছেন না তারা। প্রিয়াঙ্কার ইনস্টাগ্রাম ঘুরেও তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সবশেষ ছয় দিন আগে স্বামীর একসঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছেন এ অভিনেত্রী। নিক জোনাসও ওই দিন ছবি শেয়ার করেছেন। তারপর একসঙ্গে তাদের কোনো ছবি দেখা যায়নি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

তবে প্রিয়াঙ্কার ইনস্টাগ্রামে এখনো স্বামী টাইটেল রয়েছে। ‘প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস’ নামেই দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রীকে। তা থেকে নেটিজেনদের ধারণা, এখনো টানাপোড়েন শুরু হয়নি এ অভিনেত্রীর সংসারে। স্বামী জোনাসের সঙ্গেই সুখের সংসার করছেন তিনি।

এদিকে ভারতের চলমান কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। কৃষকদের পক্ষে টুইট করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘কৃষকরাই আমাদের দেশের খাবার তৈরির যোদ্ধা। তাদের দাবি-দাওয়া পূরণ করা উচিত। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে কৃষকদের সমস্যাগুলোর খুব শিগগির সমাধান করা উচিত।’

আপনি আরও পড়তে পারেন