অঞ্চলভেদে আবাসিক ভবনের উচ্চতা ঠিক করার পরামর্শ

অঞ্চলভেদে আবাসিক ভবনের উচ্চতা ঠিক করার পরামর্শ

রাজধানীর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপ) আবাসিক ভবনের উচ্চতা অঞ্চলভেদে ঠিক করার পরামর্শ দিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার মাহমুদের নেতৃত্বে সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা শহরকে বসবাস উপযোগী করতে সীমাবদ্ধতাগুলো কীভাবে দূর করা যায় এবং আগামীতে নতুন করে যাতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারে নগর পরিকল্পনাবিদদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কোথায় রাস্তা হবে, কতটুকু রাস্তা হবে, আমাদের আবাসন কতটুকু লাগবে, শপিংমল কত হবে, স্কুল কত হবে- সবগুলো আমাদের যৌক্তিক ব্যবস্থাপনার ওপর ভিত্তি করে যাতে প্রতিষ্ঠিত হয়, সে বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদদের মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা তাদের অবস্থান থেকে যৌক্তিকভাবে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন।

মন্ত্রী বলেন, একটি আবাসিক এলাকায় আমরা যদি হিসেব করি যে, ছয় বা ১২ হাজার লোক সেখানে বাস করবে, সেখানে একটি স্কুল লাগবে, সে স্কুলটি যদি সেখানে এভেইলেবল না হয়, তাহলে দুই-তিন বা পাঁচ কিলোমিটার দূরের স্কুলে নিতে হবে। এজন্য পায়ে হাঁটার পরিবর্তে গাড়ি ব্যবহার করতে হবে, ট্রাফিক জ্যাম বাড়বে। আবাসিক এলাকায় যদি ওষুধের দোকান না থাকে, ওষুধ কিনতে যদি দূরে যেতে হয় তাহলে গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। প্রত্যেকটি আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনার ভেতরে কিছু কিছু সাপোর্ট ফ্যাসিলিটিজ থাকা দরকার। এসব বিষয় উনারা তুলে ধরেছেন।

নতুন ড্যাপের খসড়া অনুযায়ী, রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা, ধানমণ্ডির মতো এলাকায় সর্বোচ্চ ১৪ তলা পর্যন্ত আবাসিক ভবন করা গেলেও জনঘনত্ব অনুযায়ী এসব এলাকায় সর্বোচ্চ আট তলা ভবন নির্মাণের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে জমির ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ উন্মুক্ত রাখলে ভবনের উচ্চতা বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন