বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কথা চিন্তা করা যায় না: খাদ‌্যমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কথা চিন্তা করা যায় না: খাদ‌্যমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের নাম অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত বলে মন্তব‌্য করেছেন খাদ‌্যমন্ত্রী  সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে যেমন বঙ্গবন্ধুকে চিন্তা করা যায় না, তেমনি বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কথা চিন্তা করা যায় না।’

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) মুজিব জন্মশতবর্ষ ও বিজয় দিবস খাদ্য ভবনের নিচতলায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মন্ত্রী  এসব কথা বলেন।

খাদ‌্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশের মানুষের জন্য একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের স্বপ্ন দেখেছিলেন। স্বাধীন একটি দেশ উপহার দেওয়ার মাধ্যমে জনগণকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। তার সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীনতার পর তিনি যখন বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে দেশটাকে পুনর্গঠন করে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাকে সপরিবারে হত্যা করে।’
 
জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তারা তার আদর্শকে হত্যা করা সম্ভব হয়নি মন্তব‌্য করে খাদ‌্যমন্ত্রী বলেন, ‘জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু আরও বেশি শক্তিশালী। তার আদর্শ প্রতিটি মানুষের অন্তরে অন্তরে পৌঁছে গেছে। এটাকেই এই স্বাধীনতাবিরোধীদের ভয়। আর এ কারণেই এই অশুভ চক্র বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে চলেছে।’

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ভাস্কর্য রয়েছে। অনেক মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। কিন্তু এই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বাংলাদেশে যে অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, তা তারা নস্যাৎ করতে চায়। দেশকে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, এটাও তাদের গাত্রদাহ সৃষ্টি করছে। তাই তারা আবার নিত্য নতুন কৌশলে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।’

পদ্মা সেতুর কথা উল্লেখ করে খাদ‌্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যেই পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসানো হয়েছে। এটা এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। কিন্তু  স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের চোখে কোনো উন্নয়ন ধরা পড়ে না। তাই তারা প্রতিটি কাজেরই বিরোধিতা করে। ষড়যন্ত্র করে। তারা আসলে দেশের কোনো উন্নয়ন চায় না।’ 

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সচিব ড.  নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আজিজ মোল্লা,  বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির মহাপরিচালক শহীদুজ্জামান ফারুকী প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন