আসল ঘি চিনবেন যেভাবে

আসল ঘি চিনবেন যেভাবে

করোনা মহামারিতে ই-কমার্স বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সম্প্রতি বেড়েছে বেচাবিক্রি। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকের আস্থা অর্জন যেখানে চ্যালেঞ্জ সেখানে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে ওত পেতে বসে থাকে প্রতারকচক্র। সুনামের পাশাপাশি গ্রাহক ঠকানোর অভিযোগও কম নয়। 

অন্য সব পণ্যের পাশাপাশি সম্প্রতি অনলাইনের বিভিন্ন পেজে দেখা মেলে ঘি-এর বিজ্ঞাপন। ম্যাসেঞ্জার ইনবক্সেও আসে ঘিসহ নানা পণ্যের ছবি ও দরদাম-সংক্রান্ত নানা তথ্য।

ঘি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, পাচনশক্তি বৃদ্ধি করে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে সতেজ রাখতেও সাহায্য করে। ঘি যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনি রাসায়নিক মিশ্রিত ঘি শরিরের নানান ক্ষতির কারণও হতে পারে। তাই অনলাইনে হোক কিংবা অফলাইনে ঘি কিনতে চাইলে প্রয়োজন সঠিকতা যাচাইয়ের। 

ঘিয়ে ক্ষতিক্ষর রাসায়নিক মেশানো আছে কিনা, আলু মেশানো কিনা, সয়াবিন মেশানো কিনা, কিংবা অন্য কোনো ভেজালদ্রব্য মেশানো আছে কিনা তা পরীক্ষা করা জরুরি। 

যে পদ্ধতিতে সহজেই জানা যাবে ঘি আসল না নকল-

প্রথমত এক চামচ ঘি তালুতে নিয়ে দুই হাতে ঘষে নিন। এ সময় যদি হাতের ঘষাতে দানা দানা বাঁধে তাহলে বুঝবেন ঘি আসল নয়। 

দ্বিতীয়ত ঘি হাতে নেওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে যদি গন্ধ চলে যায় তাহলে তা নিঃসন্দেহে নকল। কেননা খাটি ঘির গন্ধ দীর্ঘক্ষণ থাকে।  

তৃতীয়ত কোনো পাত্রে এক চামচ ঘি নিয়ে তাতে কিছুটা চিনি ও হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে মেশানোর পর যদি লাল বর্ণ ধারণ করে তাহলে বুঝবেন এটি ভেজাল। কেবল রাসায়নিক মেশানো থাকলেই লাল বর্ণ ধারণ করবে। 

চতুর্থত এক চামচ ঘিতে আয়োডিন ফেলার পর তা নকল হলে নীল বর্ণ ধারণ করবে। এভাবেও জানা যাবে আপনার সংগৃহীত ঘি আসল না নকল। 

আপনি আরও পড়তে পারেন