সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রযোজকের পাল্টা অভিযোগ

সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রযোজকের পাল্টা অভিযোগ

জোরপূর্বক বিয়ে করতে চাওয়া এবং অশ্লীল ভিডিও বার্তা ছড়ানোর হুমকি দেওয়ায় চলচ্চিত্র প্রযোজক মো. ইকবালের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন তার সাবেক স্ত্রী জেনিফার ফেরদৌস। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) মধ্য রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হাজির হয়ে ডায়েরিটি করেন তিনি। এবার সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা সাধারণ ডায়েরি করেছেন মো. ইকবাল।

গত বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশান থানায় জিডি করেন ইকবাল। যার নম্বর ১৫৬৯।

তাতে দেখা গেছে, সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন ইকবাল। তার দাবি, ২০১৭ সালে প্রথমে সম্পর্ক এবং পরে জেনিফারের সঙ্গে বিয়ে হয়ে ইকবালের। বিয়ের পর কিছুদিন ভালোই ছিলেন তারা। এক পর্যায়ে জেনিফারের উচ্ছৃংখল, অনৈতিক কার্যকলাপ ও বেপরোয়া চলাফেরার জন্য বিচ্ছেদ হয় তাদের। বিচ্ছেদের পর ইকবালের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা এবং ইকবালের ফিল্ম জগতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য হুমকি দেন জেনিফার। 

ইকবাল আরো অভিযোগ করেন, যারা ইকবালের সিনেমার কাজ করতে আসেন তাদের কুপরামর্শ দেন জেনিফার। এমন অভিযোগ করে ইকবাল তার জিডির আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, তাসনিয়া (২২) নামে এক মেয়েকে ইকবালের সিনেমায় কাজ করতে নিষেধ করেন জেনিফার। এবং তাকে নায়িকা বানানোর জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং ব্যবসায়ীদের কাছে নিয়ে যান। 

সঙ্গীত পরিচালক ইমন সাহার মাধ্যমে ইকবালের কাছে বিশ লাখ টাকা দাবি করেন জেনিফার। এই টাকা প্রদান করলে সব মামলা তুলে নেবেন এবং সম্পূর্ণ বিষয়ে আপোস মিমাংসা করার কথা বলেন জেনিফার। শুধু তাই নয় সঙ্গীত পরিচালক ইমন সাহাকে বিয়ের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন ইকবালের সাবেক স্ত্রী। এমনটাও উল্লেখ করেন মো. ইকবাল।

পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানতে চাইলে হোয়াটসঅ্যাপ কলে ইকবাল জানান, তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই জেনিফার তার নামে মামলা করেছেন। জেনিফার ইমন সাহাকে বিয়ে করতে চান এবং আমেরিকা চলে যেতে চান। বিশ লাখ টাকা হলে তারা সেখানে চলে যাবে। টাকার জন্যই ইকবালকে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে জেনিফার তার জিডিতে উল্লেখ করেন, ব্যবসায়িক মিটিংয়ে ইকবাল উপস্থিত হয়ে তাকে জোর করে নিয়ে যেতে চান। জেনিফার যেতে না চাইলে তার গালে দুটি থাপ্পড় মারেন ইকবাল। জেনিফারের সঙ্গে থাকা তার ম্যানেজার মিনাজুল ইসলাম ও চিত্রপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক এসে তাকে উদ্ধার করেন।

তবে বিষয়টি মিথ্যা বলে জানান ইকবাল। মিনাজুলের সঙ্গে ইকবালের ফোনালাপে জোর করে তুলে নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা বলে জানান মিনাজুল। তার ভাষায়, ‘আমি তো জিডিতে স্বাক্ষী হিসেবে আমার নাম দিতে বলি নাই। আমি পুরা ঘটনা শুনলাম আপনার (ইকবাল) মুখ থেকে।’

এ ব্যাপার জানতে চিত্রপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি তাকে।

আপনি আরও পড়তে পারেন