সীমান্ত দিয়ে আনা হচ্ছে ভারতীয় গরু

সীমান্ত দিয়ে আনা হচ্ছে ভারতীয় গরু

সাধন রায় লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ


 লালমনিরহাট সীমান্ত দিয়ে বেড়েছে ভারতীয় গবাদিপশু আমদানি। ভারতীয় গরু প্রবেশ করায় হাটগুলোতে কমে গেছে দেশি গরুর চাহিদা। গরুর দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে গরু পারাপারের ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

এদিকে ভারতীয় এসব গরু হাটে তুলতে গিয়ে সীমান্ত এলাকার গ্রাম পুলিশ, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় অসৎ সদস্যকেও চাঁদা দিতে হয় বলে একাধিক সূত্র জানায়।

তবে এসব গরু কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতে পরিবহন খরচসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদা দিতে দাম দ্বিগুণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।ভারত থেকে গরু আনায় নিয়োজিত রাখালরা জানান, স্থানীয় গ্রাম পুলিশ থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থাসহ অনেককেই চাঁদা দিতে হয়। ভারতে থেকে আসা অপেক্ষাকৃত কম দামের গরু বাংলাদেশিদের অনেক বেশি দামে কিনতে হয় বলে দাবি করেন তিনি।

সিরাজগঞ্জ থেকে পাটগ্রামের রসুলগঞ্জ হাটে আসা গরু ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী জানান, গরু ট্রাকযোগে ঢাকা, রাজশাহী নিয়ে যেতে পথে মোটর শ্রমিক, ট্রাক শাখা থেকে শুরু করে পুলিশকেও চাঁদা দিতে হয় বলেও জানান তিনি।

পাটগ্রাম কাস্টমস অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি গরু এসেছে। ওই অফিসে লালমনিরহাট জেলাসহ নীলফামারীর (একাংশ) সীমান্ত পথে আসা ভারতীয় গরুর করিডোর করে সরকারি রাজস্ব আদায় করে। এতে ২০১৫ সালে মোট ১৯ হাজার ৭১৩টি গরু করিডোর করা হলেও ২০১৬ সালে কয়েকগুণ বেড়েছে।

 চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত পাটগ্রামের ইসলামপুরের ওই কাস্টমস অফিসে ৩৪ হাজার ৫৪০টি গরু করিডোর হয়েছে বলে সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে। অবৈধ পথে ভারতীয় গরুর শতভাগ করিডোর হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

লালমনিরহাট ১৫ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল বজলুর রহমান হায়াতী বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রচুর সংখ্যক ভারতীয় গরু আসছে বাংলাদেশে। আমরা ওই সব গরু শতভাগ করিডোর করে সরকারের রাজস্ব বাড়াতে সহায়তা করছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন