রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কৃষক

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কৃষক

মারুফা জামান, গঙ্গাচড়া (রংপুর):

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় জেঁকে বসেছে শীত। দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারদিক। সবকিছুই দেখা যায় ধোঁয়াশার মতো। ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। শ্রমজীবীদের অনেকেই কাজে বের হতে পারছে না। হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা গরম কাপড়ের অভাবে চরম কষ্টে আছে। প্রচণ্ড শীতে ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে রবি শস্য। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কৃষকরা।

অন্যদিকে প্রচণ্ড শীত আর শৈত্যপ্রবাহে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে বেড়ে চলেছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন জ্বর, সর্দি, কাঁশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া ইত্যাদি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষেরা হাসপাতালে আসছেন।

এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্করাই বেশি। তবে যাদের রোগের প্রকোপ কম তাদেরকে চিকিৎসাপত্র ও পরামর্শ দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছি।অন্যদিকে মৌসুমের শুরুতেই তীব্র শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় পচে যাচ্ছে ক্ষেতের বেগুন, আলু, শিম, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন রবি শস্য।

লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চর ইচলি গ্রামের কৃষক সাবের আলি, গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের চেংমারী গ্রামের জমের উদ্দিন ও কোলকোন্দ ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া গ্রামের জাহেদুল ইসলাম জানান, ফসল রক্ষায়  সারা ও কীটনাশক ব্যবহার করেও তেমন কোনো কাজ হচ্ছে না। স্বপ্নের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দেখে তাদের হতাশায় দিন কাটছে।উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় ফসলের ক্ষতি যেন না হয়, এ জন্য আমরা কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন