বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভুল সিদ্ধান্তে দিশেহারা কৃষক

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভুল সিদ্ধান্তে দিশেহারা কৃষক

উৎপাদন মৌসুমে সরকারের মাঠ প্রশাসন তিন মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখার আহ্বান জানালেও তাতে কর্ণপাত করেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। উল্টো বাংলাদেশের ভরা মৌসুমেই আবারো পেঁয়াজ রফতানির দরজা খুলে দিয়েছে ভারত। এর নেতিবাচক প্রভাবে বাজারে কমতে শুরু করেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। বাজার দরে হঠাৎ পতনে অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। তাদের মাথায় ভর করেছে আবাদ খরচ উঠে না আসার শঙ্কাও। 

চাহিদা না থাকার পরও পেঁয়াজ আমদানিতে নাখোশ অর্থনীতিবিদরাও। তারা মনে করছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এমন ভুল সিদ্ধান্তে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়ছে। তাই একেবারে বন্ধ না করা গেলেও আমদানিতে চড়া শুল্ক আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

মাস তিনেক আগে যখন শেষের পথে অভ্যন্তরীণ পেঁয়াজের মজুত, তখন কোনো ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এরপর সংকট সামাল দেয়ার সঙ্গে বাড়তি লাভের আশায় সরকারি উৎসাহেই বিপুল পরিমাণ জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন চাষিরা। অথচ, দেশি পেঁয়াজে টইটম্বুর বাজারেই আবার শুরু হয়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। 

যা নিয়ে উদ্বিগ্ন পেঁয়াজ চাষিরা বলছেন, আমদানি বন্ধ না হলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা। এমনকি আসছে বছর পেঁয়াজ উৎপাদন না করার কথাও বলছেন তারা।

যদিও, সরকারের মাঠ প্রশাসন বলছে, কৃষক স্বার্থ সুরক্ষায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আগেই অনুরোধ করা হয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখতে। তবে তা কার্যকর করা যায়নি।

এদিকে যত দ্রুত সম্ভব পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পক্ষে অর্থনীতিবিদরাও। অর্থনৈতিক সম্পর্কের খাতিরে তা করা না গেলেও আমদানিতে শুল্ক আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

মূলত, দেশে উৎপাদন বাড়ানোর কৌশল হিসেবে গত ১ জুলাই থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে সরকার। সেপ্টেম্বরে তুলে নেয়ার পর যা এখনও রয়েছে স্থগিত। এর মধ্যেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ, সাতক্ষীরার ভোমরা আর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রথম দিন শনিবার ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ এসেছে প্রায় ৫০০ টন।

আপনি আরও পড়তে পারেন