মৃত মানুষের কথা শুনতে পান জীবিতরা!

মৃত মানুষের কথা শুনতে পান জীবিতরা!

মৃত মানুষের কথা নাকি শুনতে পায় জীবিতরা। এমন মানুষ হরহামেশায় আমাদের মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (২০ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ এইটিনের একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ রয়েছেন যারা মৃত ব্যক্তির কথা শুনতে পান। তারা প্ল্যানচেটে বসে যোগাযোগ করে থাকেন মৃতদের সঙ্গে। মৃত ব্যক্তিদের কথা শুনতে পান, তারা কী বলছেন সেটা আমাদের জানিয়ে দেন। এদেরকে বলা হয়ে থাকে মিডিয়াম। আবার কখনও কখনও এদের মুখ দিয়েই কথা বলে থাকেন মৃতেরা।

এই ব্যাপারটা কীভাবে ঘটে সেটা নিয়ে সম্প্রতি এক সমীক্ষা চালিয়েছে ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। এই সমীক্ষায় মিডিয়াম ছিলেন ৬৫ জন। আর ১৪৩ জন ছিলেন সাধারণ মানুষ যারা আপনার-আমার মতোই, অর্থাৎ তারা মৃতের কথা শুনতে পান না। এই সমীক্ষায় ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল স্পিরিচুয়ালিস্টস ন্যাশনাল ইউনিয়নও।

সমীক্ষা বলছে যে, ওই ৬৫ জনের মধ্যে অনেকে খুব ছোটবেলা থেকেই মৃতদের কথা শুনতে পান। বাকিদের মধ্যে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ক্ষমতা বিকশিত হয়েছে। তারা সবাই একটা দিক থেকে সাধারণ মানুষের চেয়ে আলাদা। এরা অত্যন্ত অনুভূতিপ্রবণ। অর্থাৎ তাদের চিন্তাভাবনার গভীরতা অনেক বেশি। চারপাশে কী ঘটছে, সে সম্পর্কেও তারা সজাগ থাকেন অনেক বেশি। আর এ কারণেই তারা মৃতের কথা শুনতে পান।

সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে যে, এই ৬৫ জনের মধ্যে ৪৪ শতাংশ মৃতের কথা প্রায় রোজই শুনেছেন। ৩৩ শতাংশ শুনেছেন সমীক্ষার একেবারে শেষ দিনে। ৭৯ শতাংশের বক্তব্য হচ্ছে, তারা যেখানেই থাকুন না কেন, চারপাশের মৃতদের কথা শুনতে পান। বাকিরা বলছে, কোন নিরিবিলি জায়গায় গেলে তাদের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। কেউ একেবারে সরাসরি শোনেন, কারো আবার মাথার ভিতরে এই কণ্ঠস্বর সাড়া জাগায়।

সবশেষে সমীক্ষার প্রধান ডক্টর অ্যাডাম পোওয়েল উপলব্ধির তীব্রতা এবং মননশক্তির উপরেই জোর দিয়েছেন মৃতদের কথা শুনতে পাওয়ার ব্যাপারে। তার সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক, তা আগামী দিনের বিস্তারিত নিরীক্ষাই একমাত্র বলতে পারবে!

আপনি আরও পড়তে পারেন