২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তার নাম ইকবাল। হামলার ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

রাজধানীর দিয়াবাড়ী এলাকা থেকে সোমবার (২২ ২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে র‍্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে ইকবালকে গ্রেপ্তার করে।

মঙ্গলবার সকালে এলিট ফোর্সটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি ইমরান খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, এ বিষয়ে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে বিস্তারিত সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দলটির সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই নৃশংস হামলায় ২৪ জন নিহত ও নেতাকর্মী-আইনজীবী-সাংবাদিকসহ পাঁচ শতাধিক লোক আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান।

এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। নানা প্রতিকূলতা পেরুনোর পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রায় দেয় বিচারিক আদালত। এতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। ৪৯ আসামির মধ্যে বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

গ্রেনেড হামলার মামলায় দণ্ডিত ৩৩ আসামি কারাগারে থাকলেও পলাতক ছিলেন ১৬ জন। ইকবাল গ্রেপ্তার হওয়ায় এখন পলাতক রইলেন ১৫ জন।

তারেক ছাড়া পলাতকরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (যাবজ্জীবন), কুমিল্লার মুরাদনগরে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (যাবজ্জীবন), অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার (২ বছর কারাদণ্ড), ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এ টি এম আমিন আহমদ (২ বছর কারাদণ্ড), হানিফ পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ হানিফ (মৃত্যুদণ্ড), জঙ্গিনেতা মাওলানা তাজউদ্দিন (মৃত্যুদণ্ড), মহিবুল মুত্তাকিন (যাবজ্জীবন), আনিসুল মোরসালিন (যাবজ্জীবন), মোহাম্মদ খলিল (যাবজ্জীবন), মাওলানা লিটন (যাবজ্জীবন), জাহাঙ্গির আলম বদর (মৃত্যুদণ্ড), মুফতি শফিকুর রহমান (যাবজ্জীবন), মুফতি আব্দুল হাই (যাবজ্জীবন) ও রাতুল আহমেদ বাবু (যাবজ্জীবন)।

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে যে ১৬ বছর আগে ‘রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায়’ আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল, তা উঠে এসেছে ২১ আগস্ট মামলার রায়ে।

আপনি আরও পড়তে পারেন