ব্যাংক-পুঁজিবাজার খোলা থাকবে, কীভাবে চলবে জানাবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ব্যাংক-পুঁজিবাজার খোলা থাকবে, কীভাবে চলবে জানাবে বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে আগামী এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। রোববার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, সোমবার (৫ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে থেকে আগামী রোববার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। তবে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় চলবে সরকারি-বেসরকারি অফিস। ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা চালু থাকবে সীমিত পরিসরে।

তবে দেশের অর্থনৈতিক লেনদেনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম কীভাবে চলবে, তা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দেবে। অবশ্য এ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্য ব্যাংকগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে চলতে বলবে, ব্যাংকগুলো সেভাবেই চলবে। সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের জন্য ব্যাংকগুলোকে অপেক্ষা করতে হবে।

গত বছর করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই ব্যাংক সেবা সীমিত করে এনেছিল ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। কর্মীদের অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে জনবল কমিয়ে আনা, নিকটবর্তী এলাকায় একটি শাখা খোলা রেখে অন্যগুলো বন্ধ রাখাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারও লকডাউনের মধ্যেই ব্যাংকসেবা চালু রাখা হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম।

রোববার (৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের পার্ল বলরুমে আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের লেনদেন চলবে, তবে সময় কমে আসবে। করোনার কারণে আমরা পুঁজিবাজার বন্ধ করব না।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, পণ্যপরিবহন ও উৎপাদন ব্যবস্থা জরুরি সেবাদানের আওতায় আসবে না। আওতামুক্ত থাকবে বিদেশ ফেরত ও বিদেশগামীদের পরিবহন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জরুরি পরিষেবা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে না। খোলা জায়গায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে কাঁচাবাজার।

হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না। শপিংমল ও অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে, লকডাউন হলেও মাছ, ডিম আর দুধের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন বাধার মুখে পড়বে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি নির্দেশনায় মেনে সীমিত পরিসরে চলতে প্রস্তুত বলে জানা গেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন