জগন্নাথপুরে এক ব্যাক্তিকে প্রাণ নাশের হুমকি, থানায় অভিযোগ দায়ের

জগন্নাথপুরে এক ব্যাক্তিকে প্রাণ নাশের হুমকি, থানায় অভিযোগ দায়ের
মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ

জগন্নাথপুর এর কলকলিয়া বাজারে সংখালঘু হিন্দু পরিবারের সন্তান ধঞ্জয় দাস(৬৫) কে ছালিক মিয়া(৩৫) ও টুনু মিয়া(৩২) নামক দুই যুবক অকত্য ভাষায় গালি-গালাজ করার পাশা-পাশি প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে ধঞ্জয় দাস (৬৫) জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে লিখিত  অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ পত্র সুত্রে  জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলাধীন কলকলিয়া গ্রাম নিবাসী মৃত যোগেশ্বর দাস এর ছেলে ধঞ্জয় দাস (৬৫) গত ২১ শে মে রোজ শুক্রবার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করতে স্থানীয় কলকলিয়া বাজার আসেন। সন্ধ্যা প্রায় ৬ ঘটিকার সময় কলকলিয়া বাজার পয়েন্টে   ছাতক উপজেলার শক্তিয়ার গাঁও গ্রাম নিবাসী মোঃ তেরাই মিয়ার ছেলে বখাটে  ছালিক মিয়া (৩৫) ও টুনু মিয়া (৩২) পাকা রাস্তায় কলকলিয়া গ্রাম নিবাসী ধঞ্জয় দাস (৬৫) এর পথরোধ করে এবং  ৩ লাখা টাকা চায়। তখন ধঞ্জয় দাস কিসের টাকা তাদের কাছে জানতে চাইলে পাওনা টাকা বলে দাবী করে ছালিক ও টুনু। এনিয়ে ধঞ্জয় দাস (৬৫) কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি মারপিট করতে উদ্যত্ব হলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে বখাটে ছালিক ও টুনুর রোষানল থেকে ধঞ্জয় দাসকে উদ্ধার করেন। ৩ লাখ টাকা না দিল ধঞ্জয় দাস (৬৫) কে সুযোগ বুঝে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে বখাটেরা চলে যায়। এ ব্যাপারে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে ২১ শে মে দিবাগত  রাতে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ধঞ্জয় দাস। অভিযোগ এর পরিপেক্ষিতে  জগন্নাথপুর থানার এসআই এমডি শফিক ২৪ শে মে রোজ সোমবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগকারী ধঞ্জয় দাস বলেন, বখাটে ছালিক ও টুনু আমাকে দেখিয়া আমার নিকট ৩ লাখ টাকা পাওনা আছে মর্মে দাবী করিয়া টাকা দিতে বলিলে আমার নিকট  কিসের টাকা পাওনা জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তাহারা আমার উপর উত্তেজিত হয়ে আমাকে গালাগালি করে মারমূখী হয়।তখন আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করেন। টাকা না দিলে সুযোগ বুঝে আমাকে প্রানে মেরে ফেলে লাশ গুম করবে বলে হুমকি প্রদান করে বখাটে ছালিক ও টুনু চলে যায়। আমি নিরুপায় হয়ে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি প্রশাসনের নিকট বিচার প্রার্থী।
এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যাক্তি বলেন, ছালিক ও টুনু দাঙ্গাবাজ ও বখাটে প্রকৃতির লোক। ওদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী জগন্নাথপুর থানার এসআই এমডি শফিক বলেন, ধঞ্জয় দাস এর অভিযোগ এর পরিপেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন