প্রাতিষ্ঠানিক নয়, বাসায় কোয়ারেন্টিনের দাবি টিকা নেয়া প্রবাসীদের

প্রাতিষ্ঠানিক নয়, বাসায় কোয়ারেন্টিনের দাবি টিকা নেয়া প্রবাসীদের

করোনা মহামারি সংক্রমণ রোধে প্রত্যেক দেশ তাদের দেশের নাগরিক ও প্রবাসীদের সুরক্ষায় নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। দ্রুত টিকার আওতায় আনতে জোরেশোরে চলছে টিকাদান কার্যক্রম। ধাপে ধাপে তুলে নেয়া হচ্ছে বিধিনিষেধ। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করছে কুয়েত।

কুয়েত সরকার অনুমোদিত ফাইজার, অক্সফোর্ড, জনসন ও মডার্নার  টিকা যারা গ্রহণ করবে তাদের ভ্রমণে বাধা থাকবে না। করোনা মহামারির এ সময়ে প্রবাসীরা রয়েছেন অর্থিক সংকটে এবং ভুগছেন শারীরিক ও মানসিক চিন্তায়।

১ জুন বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার ৪ জুন হতে কার্যকর হওয়া নিজ খরচে কুয়েত ও ওমান প্রবাসীদের জন্য ৩ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
যেসব প্রবাসী টিকা গ্রহণ করার পর দেশে যাওয়ার জন্য জরুরিভিত্তিতে পিসিআর সনদ নিয়ে দেশে যাচ্ছেন, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের পরির্বতে বাসায় কোয়ারেন্টিনের দাবি জানান কুয়েত প্রবাসীরা।

কুয়েতে প্রবাসীরা মহসিন পারভেজ ও মুরশেদ আলম বাদল বলেন, বাহিরের সব দেশের নাগরিকরা টিকা গ্রহণ করার স্বাভাবিক কার্যক্রম ও চলাফেরা করছেন এবং ভ্রমণ করছেন। তাদের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্ত আমরা বাংলাদেশিরা নিজ দেশে গেলে পিসিআর  সনদ ও টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট সাথে থাকার পরও কেন বাধ্যতামূলক হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

আমাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিতে পারে। আমার প্রবাসীরা মাথার ঘাম পায়ে পেলে সকাল সন্ধ্যা পরিশ্রম করে কষ্টে অর্জিত সেই টাকা দেশে পাঠাই দেশে অর্থনীতি ও উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক হয় তাহলে সে খরচ যাতে বাংলাদেশ সরকার বহন।

করোনার কারণে আয়-রোজগার আগের মতো নেই, বাড়তি বিমান ভাড়া আমরা প্রবাসীদের এই দুর্দিনে সরকারকে পাশে দাঁড়ানো দরকার। নিয়য় অনুযায়ী  টিকা না দিলে কুয়েতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ছুটিতে থাকা প্রবাসীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কুয়েত সরকার অনুমোদিত টিকা প্রদান করে কর্মস্থলে ফেরার সুযোগ করে দেয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন