লকডাউনের প্রথম দিনে যাত্রীশূন্য শিমুলিয়াঘাট

লকডাউনের প্রথম দিনে যাত্রীশূন্য শিমুলিয়াঘাট

সাত দিনের কঠোর লকডাউন মুন্সীগঞ্জে সর্বাত্মক পালিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জরুরি যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন বন্ধ ছিল। দোকানপাট, বিপণিবিতান খুলতে দেখা যায় । সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের টহল-নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মতো।

মুন্সীগঞ্জে লকডাউন বাস্তবায়নে তিন প্লাটুন সেনাবাহিনী ও দুই প্লাটুন বিজিবিসহ জেলা পুলিশ ও প্রশাসন অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে জেলার লৌহজং শিমুলিয়াঘাট অভিমুখে দুটি চেকপোস্টে কাজ করছে পুলিশ ও বিজিবি।  জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

ফলে লকডাউনের প্রথম দিনে সকাল থেকে যাত্রীশূন্য অবস্থায় রয়েছে শিমুলিয়াঘাট। তবে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাট সুপারভাইজার শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, সকাল থেকে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। এসব ফেরিতে শুধু পণ্যবাহী ট্রাক, জরুরি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার হচ্ছে। যাত্রী উপস্থিতি নেই ঘাটে।

ঘাট এলাকা একবারে ফাঁকা। ঘাটে থাকা যানবাহন পারাপারের পর ফেরির সংখ্যা সীমিত করার পরিকল্পনা চলছে।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, সর্বাত্মক লকডাউনের নির্দেশনা মানার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। শিমুলিয়ামুখী গাড়ি রোধ করা হচ্ছে। তবে মহাসড়কে ঘাটমুখী যানবাহন এবং যাত্রী নেই বললেই চলে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, ভোর থেকে একাধিক চেকপোস্টে ও প্রতিটি থানা এলাকায় গাড়িতে মাইকিং করে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে বাজার এলাকায়।

জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল সাংবাদিকদের  জানান, তিন প্লাটুন সেনাবাহিনী, দুই প্লাটুন বিজিবি এবং র্যাব সদস্যরা কুইক রেসপন্স টিম হিসেবে কাজ করছে। প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

এ ছাড়া আনসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যুক্ত করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গ্রাম পর্যায় লকডাউন বাস্তবায়ন করবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন