আমাদের সামনেও মেসি, পেছনেও মেসি

আমাদের সামনেও মেসি, পেছনেও মেসি

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। আগামীকাল ১১ জুলাই, বাংলাদেশে সময় ভোর ৬টায় শুরু হবে কোপা আমেরিকার সেই কাঙ্ক্ষিত ফাইনাল ম্যাচ। যেখানে মোকাবিলা করবে ফুটবল বিশ্বের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। হাই ভোল্টেজ এই ম্যাচে কে জিতবে; ব্রাজিল নাকি আর্জেন্টিনা? এই তর্কে মেতে আছে গোটা ফুটবল দুনিয়া। বাংলাদেশেও মেসি-নেইমারদের খেলা নিয়ে উত্তেজনার কমতি নেই। ম্যাচটি নিয়ে দৈনিক আগামীর সময় জন্য লিখেছেন দেশের স্বনামধন্য লেখক, গীতিকবি এবং আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের একনিষ্ঠ সমর্থক ও মেসিভক্ত হিসেবে পরিচিত ইশতিয়াক আহমেদ

নিঃশ্বাস বন্ধ এক সময়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের সামনেও মেসি, পেছনেও মেসি। মাঝখানে আর কিছু নেই।

যে বয়সে ক্যারিয়ার পড়তির দিকে থাকে দুনিয়ার তাবৎ খোলোয়ারদের, সে বয়সে একজন মেসি ক্রমশ উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছে। এবং এটাই বিষাদে আছন্ন করে দিচ্ছে আমার মতো তামাম আর্জেন্টিনাভক্তদের।

ম্যারাডোনা পরবর্তী সময়ে আর্জেন্টাইন ফুটবল এবং ফুটবলভক্তরা ওর্তেগা, রিকোয়েলমে, আইমারদের মাঝে একজন ম্যারাডোনাকে খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখন বা তার কিছু পরই আর্বিভাব ঘটে মেসি নামের এক উজ্জ্বল আলোর। আমরা নড়েচড়ে বসি। মেসি জানিয়ে দেয়, সে তাদের মতো দ্রুত হারিয়ে যাওয়ার নয়।

হয়েছেও তাই। মেসি রাজত্ব করছেন গত ১৫ বছরেরও অধিক সময় ধরে। কিন্তু পৃথিবীর সবাই তো আর একজনের ভক্ত হয় না। হওয়ার কথাও নয়।

যে কারণে ইতিহাসের এই শ্রেষ্ঠ খেলোয়ারকে দাঁড় করানো হলো অন্যরকম এক কাঠগড়ায়। তারা বলতে লাগল, ক্লাবের হয়ে এতো অর্জন যে খেলোয়ারের দেশের জন্য কী অবদান তার?

শিরোপা অবশ্যই একজন খেলোয়ারকে অন্যরকম উচ্চতা দান করে। কিন্তু বারবার শিরোপার কাছে একাই টেনে আনার যে কৃতিত্ব সেটা কখনও দেখে না সেই মানুষগুলো। বা দেখলেও স্বীকার করতে চায় না।

তাদের চোখে অন্যরকম এক পর্দা। এই পর্দা সরানোর কাছাকাছি আরও একবার মেসি।

এইবার না হলে আর কখনওই হবে না বলা যায় না, সামনে হয়তো বিশ্বকাপও আছে। তবে সেটা পরের কথা। বৃহৎ মঞ্চের ফাইনালকে শেষ সুযোগ হিসেবে নিতে হচ্ছে মেসি ও তার দল আর্জেন্টিনার। শেষ ১৯ ম্যাচে যাদের পরাজয় নাই।

সামনে বিশ্ব ফুটবলের আরেক নক্ষত্র নেইমারের ব্রাজিল। শক্তিতে, নৈপূন্যে তারাও কম না। মঞ্চ কোপা আমেরিকা।

এতো আয়োজনের সামনে দাঁড়িয়ে একজন আর্জেন্টিনার ভক্ত হিসেবে শুধু চাওয়া বিগত উনিশটির মতো কালকের বিশতম ম্যাচটাও আমাদের হোক।

সব মিলিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে সফল এবং সবচেয়ে দুঃখী এই রাজপুত্র।

আপনি আরও পড়তে পারেন