দেশের বিভিন্ন জেলা ২৪ ঘণ্টায় ১০৫ জনের মৃত্যু ।

দেশের বিভিন্ন জেলা ২৪ ঘণ্টায় ১০৫ জনের মৃত্যু ।

করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন। তবে এ লকডাউনেও থামানো যাচ্ছে না আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। রোগীর চাপ সামলাতে দিশেহারা হাসপাতালগুলো। তৈরি হয়েছে শয্যা ও অক্সিজেন সংকট।

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে মৃত্যুর খবর। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় উচ্চঝুঁকিতে ময়মনসিংহ, বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল ও সাতক্ষীরা জেলা। সোমবার (১২ জুলাই) সারা দেশে ১০৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রোববার (১১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে সোমবার (১২ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান তারা। 

ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন করোনা রোগী এবং ১১ জন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রোববার (১১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে সোমবার (১২ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. মহিউদ্দিন খান মুন।
 

বরিশাল 

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ৪৭ জন। এর মধ্যে ১২ জন পজিটিভ। বর্তমানে এখানে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩০৭ জন। এর মধ্যে পজিটিভ ৭৭ জন।
খুলনা
খুলনার চারটি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১৭ জন। এর মধ্যে করোনা ১৩০ শয্যার ডেডিকেটেড হাসপাতালে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন এবং উপসর্গ নিয়ে পাঁচজন। খুলনা সদর হাসপাতালে মারা গেছেন তিনজন। আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে একজন এবং বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তিনজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে খুলনা জেলার রয়েছে ১১ জন। এ ছাড়া যশোর ও বাগেরহাট জেলার একজন করে মারা গেছেন।
 

রাজশাহী:
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় রাজশাহীতে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য জানিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা। শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৪ জন মারা গেছেন এদের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এ ছাড়া নাটোরের চারজন, নওগাঁর দুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ‍দুজন এবং পাবনার একজন মারা গেছেন।  করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা।
 

কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জন করোনা শনাক্ত ছিলেন, বাকি ৬ জনের করোনার উপসর্গ ছিল। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এক হাজার ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় আগের দিনের চেয়ে শনাক্তের হার আরও এক কমে ২৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ হয়েছে।
 

টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে লাগামহীন করোনা পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং ৯ জন উপসর্গ নিয়ে মারা যান। ৭৩১টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন আক্রান্ত ২০৭ জন। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  
 

ফরিদপুর 

গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুর পিসিআর ল্যাবে ৩৫৬ নমুনা পরীক্ষার মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ১৫১ জন। এই সময়ে করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৯ জন। এদের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়ে ২ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ৭ জন মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩৯৫ জন। ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

এ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্চগড়ে একজন মারা গেছেন। 

আরও আসছে…

আপনি আরও পড়তে পারেন