২২ দিন বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে ৩৮টি আন্তঃনগর, ১৯টি মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। এদিকে ট্রেন চালুর পর রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করেছেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে আসেন তিনি। এ সময় রেল মন্ত্রণালয় এবং রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন ট্রেনের টিকিট সংকটের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, একটি ট্রেনের ৭৩৮টি আসন থাকলে তার অর্ধেক আসনের বিপরীতে টিকিট ইস্যু করা হচ্ছে। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ লাখ যাত্রী পরিবহন করা কীভাবে সম্ভব? তারপরও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। অতিরিক্ত লোক একসঙ্গে লগ ইন করায় অনলাইনে টিকিট কাটতে ভোগান্তি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বাসে একটি আসন ফাঁকা রেখে পাশের আসনে যাত্রী বহন না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও বাসে এটি মানা হচ্ছে না। ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও অর্ধেক সংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, লোকাল ট্রেনে মানুষ চড়তে চায়। লোকাল ট্রেন বিভিন্ন রেল স্টেশনে থামে। এ কারণে কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধির ব্যত্যয় হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি। আমি ছোটবেলা থেকেই তা দেখে আসছি। অনেকে টিকিট ছাড়া লোকাল ট্রেনে উঠে পড়েন। আমরা ট্রেনকে গণপরিবহন হিসেবে আরও বেশি আধুনিক হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি। রেল ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি।
এ সময় মন্ত্রী জানান, লোকাল ও কমিউটার ট্রেনের টিকিট স্টেশনে কিনতে পারবেন যাত্রীরা। তবে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট অনলাইনে কিনতে হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ৫ এপ্রিল থেকে রেলওয়ের সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। গত ২৩ মে জারি করা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২৪ মে থেকে আসন সংখ্যার অর্ধেক (৫০ শতাংশ) যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ মে থেকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ২৮ জোড়া আন্তঃনগর এবং ৯ জোড়া মেইল এক্সপ্রেস ও কমিউটার ট্রেন মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করে ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছিল। পরে সরকারি নির্দেশনায় গত ২৩ জুন থেকে ট্রেন চলাচল আবারও বন্ধ করা হয়।
১৫-২২ জুলাই, এই ৮ দিন চলার পর আবারও বন্ধ হয়ে যাবে ট্রেন চলাচল। ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত আবার কঠোর বিধিনিষেধ জারি থাকবে। সে সময়ে অন্য সবকিছুর মতো ট্রেনও বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।