ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সামাজিক আন্দোলনের ডাক মেয়রের

ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সামাজিক আন্দোলনের ডাক মেয়রের

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, একদিকে করোনা, আরেকদিকে ডেঙ্গু। এসব রোগের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। 

আজ (বুধবার) রাজধানীর ভাটারা এলাকায় ৪০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সামনে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে মশক নিধনে চিরুনি অভিযান ও জনসচেতনামূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মেয়র আরও বলেন, সুস্থতার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমেই ডেঙ্গু, করোনা থেকে মুক্তি পেতে, সচেতন করতে সবাইকে কাজ করতে হবে। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করাটা জরুরি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে যাচ্ছি, সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য। এছাড়া কাউন্সিলরদের আমি নির্দেশনা দিয়েছি তারা যেন সব অলিগলি, পাড়া-মহল্লাতে গিয়ে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পেতে করণীয় সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে। সামাজিক আন্দোলন ছাড়া ডেঙ্গু মোবাবিলা করতে আমরা পারবো না। আমরা আমাদের মতো করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু বাসার ভিতরে বিভিন্ন পাত্রে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিসের লার্ভা থাকে। ঘরের ভিতরে গিয়ে এসব দেখা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তাই নিজ নিজ ঘর, আঙিনা নিজেদেরই পরিষ্কার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা একটি বার্তা নগরবাসীর কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করছি- প্রতি শনিবার ১০টা ১০ মিনিটে নিজের আঙিনা করবো পরিষ্কার। এই কার্যক্রমে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, আমাদের অভিযানের সময় আমরা দেখেছি নির্মাণাধীন ভবনে ৬৫ শতাংশ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। ২৫ শতাংশ পেয়েছি ওয়াসার মিটারে। আর বাকিগুলো পেয়েছি টব, টায়ার এবং ডাবের খোসার মতো অপ্রয়োজনীয় জিনিসে। এসব বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন হবে। চিপসের প্যাকেটের মধ্যে, ডাবের খোসার মধ্যে, ফুলের টবের মধ্যে লার্ভা, ঘরের ভিতরে পাত্রে জমে থাকা পানিতে, বেলকনিতে ফুলের টবে পানিতে লার্ভা হয়। তাই নিজ নিজ জায়গা থেকে এগুলো পরিষ্কার করার উদ্যোগ না নিলে ডেঙ্গু থেকে আমরা রক্ষা পাবো না।

এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন