ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিশ্বমানের শিক্ষাদান করছে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক

ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিশ্বমানের শিক্ষাদান করছে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বৈশ্বিক বিপর্যয়ের মধ্যে গত বছরের শুরু থেকে ক্যাম্পাসভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় চরম অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এমতাবস্থায়, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক-এর তৎকালীন উপাচার্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাবিদ প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী ডিজিটাল প্লাটফর্মে মানসম্পন্ন শিক্ষাদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সরকারি নির্দেশনা ও বিশ্ববিদ্যাালয় মঞ্জুরী কমিশনের নীতিমালার আলোকে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশক্রমে তিঁনি একটি গ্রহণযোগ্য যুগান্তকারী কৌশল নির্ধারণ করেন।

এ ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য প্রকৌশল অনুষদ এবং আইটি বিভাগের প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে সকল অনুষদের সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী, ছাত্রছাত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে অনলাইনে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়।  এতে করে ডিজিটাল প্লাটফর্মে পাঠদান ও শিখন পদ্ধতি সহজ হয়। শিক্ষার্থীদের টেক্সট ও রেফারেন্স বইয়ের জন্য ডিজিটাল লাইব্রেরী ব্যবহারের অবারিত সুযোগ তৈরী হয়। ইউএপি ডিজিটাল প্লাটফর্মে ব্যবহারিক ক্লাস পরিচালনার অনন্য নজির স্থাপন করেছে। দুর্যোগের এই সময়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন অভাব অভিযোগ অত্যন্ত সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। বর্তমান উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সুলতান মাহমুদের সুদক্ষ নেতৃত্বে সকল প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম স্বচ্ছতার সঙ্গে গুণগত মান বজায় রেখে পরিচালিত হচ্ছে। তিঁনি এই দু:সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ সকল শিক্ষার্থীর টিউশন ফি ২০ শতাংশ মওকুফসহ বিলম্ব ফি সম্পূর্ণ মওকুফ করেছেন। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য  ছাত্রবৃত্তি একশ’ ভাগে উন্নীত করেছেন। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকসহ সকলকে নিয়ে তিঁনি ইউএপি-কে একটি পরিবারে পরিণত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের মাধ্যমে অনলাইনে কাউন্সিলিং ও শারীরিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে, প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে কার্যকরভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। অনলাইন প্লাটফর্মে সভা-সেমিনারসহ বিশেী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সকল যোগাযোগ যথাসময়ে হচ্ছে। আন্তঃঅনুষদ বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ কেন্দ্রীয় ও অনুষদ ভিত্তিক সকল ক্লাব কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আইন ও মানবাধিকার বিভাগ কর্তৃক আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করা হয়। আইন ও মানবাধিকার বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিয়া নিশাত মীম বলেন, ‘আমরা নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্য বিতর্ক ও পাবলিক স্পিকিং শেখার ওপর কর্মশালার আয়োজন করি এবং এই সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ইউএপি’র ছাত্রছাত্রীরা সাফল্য অর্জন করেছে’।
ইউএপি সামাজিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিনামূল্যে হ্যান্ড স্যনিটাইজার সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সামগ্রী সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মহোদয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ইউএপি’র অ্যালামনাই সদস্যদের আরও কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করেছেন। অ্যালামনাই অ্যাসোশিয়েশন ইউএপি পরিবারকে টেলিমেডিসিন সহায়তা দিয়ে আসছে।

ইউএপি ক্যাম্পাস। ছবি

উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘মানসম্পন্ন শিক্ষার বিকল্প নেই, তাই ইউএপি শিক্ষার মানের সঙ্গে আপোষ করেনা। এখানে গবেষণার জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়। উপস্থিতি, অ্যাসাইনমেন্ট, টিউটোরিয়ালসহ সকল পরীক্ষার উত্তরপত্র যথাযথ মূল্যায়ন শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এই সময়েও আমাদের গ্রাজুয়েটদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ২০২১ সিমাগো ইনস্টিটিউশন র‌্যাংকিং-এ ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষ পাঁচে জায়াগা করে নিয়েছে এবং দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯তম স্থানে রয়েছে।

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রকৌশল, ফার্মেসী, আর্কিটেকচার, আইন ও মানবাধিকার, ইংরেজি ও ব্যবসা প্রশাসনসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে ইউএপি’র ডিজিটাল প্লাটফর্মে পরিচালিত শিক্ষাকার্যক্রম দেশ-বিদেশের সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন