এসএমএস ছাড়া টিকা কেন্দ্রে ভিড় না করার পরামর্শ

এসএমএস ছাড়া টিকা কেন্দ্রে ভিড় না করার পরামর্শ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন। একইসঙ্গে আগে থেকেই অব্যাহত রয়েছে নিবন্ধন করে টিকা নেওয়ার কর্মসূচিও। ফলে বিভিন্ন টিকা কেন্দ্রে টিকা গ্রহীতাদের ভিড় দেখা গেছে। তাদের অনেকেই নিবন্ধন করে এসএমএস ছাড়াই টিকা নিতে চলে এসেছেন।

এই অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, নিবন্ধনের পর এসএমএস ছাড়া কাউকেই টিকা দেওয়া হবে না। তাই এসএমএস ছাড়া টিকা কেন্দ্রে অহেতুক ভিড় নয়।

রোববার (৮ আগস্ট) দুপুরে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সার্বিক বিষয় নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ পরামর্শ দিয়েছেন অধিদফতরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম।

গণটিকার অংশ হিসেবে নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ৩০০ থেকে ৩৫০ টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা নিতে এসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে লাইনে। দীর্ঘলাইনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে কী? এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা বারবার সবার কাছে অনুরোধ করেছি, ক্ষুদেবার্তা পাওয়ার পর কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য।

ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, অবশ্যই টিকা কেন্দ্রে আসার সময় মাস্ক পরে আসবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে আমাদের নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব রয়েছে। আমরা যদি অহেতুক সেখানে ভিড় না করে ক্ষুদেবার্তা পাওয়ার পর যাই তাহলে দ্রুতই টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।

নাজমুল ইসলাম বলেন, একটু সুশৃঙ্খল হলে, টিকা কেন্দ্রে জনসমগম অনেকটা কমে আসবে। অন্য বা গণটিকা কার্যক্রম চলছে যেসব কেন্দ্রে, সেসব কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছেন। এখানে প্রশাসনের সঙ্গে তারা কাজ করছেন। তাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করলে আমরা আশা করি এই সমস্যা থাকবে না।

সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বিগত ৭ দিনে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি যদি আমরা দেখি তাহলে দেখব যে, ৭ আগস্ট কম সংখ্যক রোগী চিহ্নিত হয়েছে। শতকরা হিসেবে আমরা আগের দিনের তুলনায় শনাক্তের হার খানিকটা কম পেয়েছি, তা হলো ২৫.৬৫ শতাংশ। সপ্তাহের শুরুতে ১ আগস্ট শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৮৪৪ জন। শনাক্তের হার ছিল ২৯.৯৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য মুখপাত্র বলেন, বিগত ৩০ দিনে সংক্রমণের যে চিত্রটি আমরা দেখতে পাই, সেটি প্রায় কাছাকাছি একটি অবস্থাতেই আছে। এই সময়ের মধ্যে খুব বেশি উল্লেখ করার মতো বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি। জানুয়ারি মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত সংক্রমণের যে চিত্রটি আছে, সেখানে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জুলাই মাসে চিহ্নিত হয়েছে তিন লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন এবং আগস্ট মাসে এখন পর্যন্ত (৭ আগস্ট) ৯৩ হাজার ৯১২ জন রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

জেলাভিত্তিক সংক্রমণের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বিগত ৩০ দিনে সংক্রমণের যে চিত্রটি আমরা দেখতে পাই, সেটি প্রায় কাছাকাছি একটি অবস্থাতেই আছে। এই সময়ের মধ্যে খুব বেশি উল্লেখ করার মতো বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি। জানুয়ারি মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত সংক্রমণের যে চিত্রটি আছে, সেখানে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জুলাই মাসে চিহ্নিত হয়েছে তিন লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন এবং আগস্ট মাসে এখন পর্যন্ত (৭ আগস্ট) ৯৩ হাজার ৯১২ জন রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন