নতুন করে অর্থ হাতিয়ে নিতে দেশি বিদেশি বিনিয়োগের কথা বলেছে ধামাকাশপিং

নতুন করে অর্থ হাতিয়ে নিতে দেশি বিদেশি বিনিয়োগের কথা বলেছে ধামাকাশপিং

দেশি বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার নামে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকাশপিং। গ্রাহকের কাছে থেকে নতুন করে অর্থ হাতিয়ে নিতে দেশি বিদেশি বিনিয়োগের আশাস দিয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি । প্রতিষ্ঠানটি এমডি ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা অবৈধ চ্যানেলে যুক্তরাষ্ট্রে পাচারসহ বিভিন্ন অসামঞ্জস্যতায় গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে দেশি বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার প্রচার প্রচারনা করছে প্রতিষ্ঠাটি ।

সম্প্রতি লাইভে এসে ধামাকাশপিং বিনিয়োগ পেতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির এমডি জসিম উদ্দিন চিতশি ।

ধামাকাশপিং এর বিনিয়োগের পাওয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ যমুনা গ্রুপ। যার মধ্যমে প্রতিষ্ঠাটি ঘুরে দাঁড়াতে চলেছে। ধামাকায় বিনিয়োগ বিষয় এখন কোন প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখায়নি, তবে গ্রাহকদের আস্থা রাখার জন্য আমরা এই ধরনের প্রচারনা করছি ।

প্রতিষ্ঠানটির লেনদেনে ব্যাপক অসামঞ্জস্য পাওয়ায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বিষয়টি তদন্ত করছে । ধামাকার তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি এমডি ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা অবৈধ চ্যানেলে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন। ধামাকার গ্রাহকদের প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন গাজীপুর মাইক্রো ফুড বেভারিজ নামের একটি ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে। এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিরা মোটা অংকের টাকা নিজেদের ব্যাংক একাউন্টে সরিয়ে ফেলেছেন।

সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে লেনদেনে ব্যাপক অসামঞ্জস্যতার বিষয়ে একজন আরেকজনের উপর দায় চাপিয়েছেন। তবে ধামাকার টাকা সরিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ও পাচারের কথা স্বীকার করেছে তারা।

‘ধামাকা শপিং’ নামে কোন কোম্পানির সরকারি রেজিস্ট্রেশন নেই। তাদের নিজস্ব কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরও পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানটি চলছিল ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন