ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সচল করতে রাশিয়ার বিনিয়োগ চাইলেন প্রতিমন্ত্রী

ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সচল করতে রাশিয়ার বিনিয়োগ চাইলেন প্রতিমন্ত্রী

পাবনার ঈশ্বরদী বিমানবন্দরকে সচল করতে রাশিয়াকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারের সঙ্গে সাক্ষাতে আসেন ঢাকায় নবনিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্তিতস্কি। সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

২০১৪ সালে সর্বশেষ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ফ্লাইট নেমেছিল পাবনার ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে। এরপর আর কোনো যাত্রীবাহী ফ্লাইট এখানে অবতরণ করেনি। দেশের সব বেসরকারি এয়ারলাইন্স কোম্পানি, পাবনা জেলা প্রশাসক ও ঈশ্বরদীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরও চালু করা হয়নি বিমানবন্দরটি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্প চলছে পাবনায়। বিদেশি নাগরিকসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিয়মিত যাতায়াত করতে হয় সেখানে। এছাড়া স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক প্রসার ঘটেছে এরই মধ্যে। এসব কারণে সাত বছর ধরে বন্ধ থাকা ঈশ্বরদী বিমানবন্দরটি অবিলম্বে খুলে দেওয়ার আবেদন জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নথি থেকে জানা যায়, ঈশ্বরদী বিমানবন্দরটি ১৯৪০-১৯৪৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে স্থাপিত হয়। ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী বিমানবন্দরটি ব্যবহার করেছিল। স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নিয়মিত এ বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এরপর বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিমানবন্দরটি।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর ২০১৩ সালে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ঈশ্বরদী বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। কিন্তু ছয় মাস ১১ দিন চালু থাকার পর ২০১৪ সালের ২৯ মে আবার বন্ধ হয়ে যায় এটি। গত সাত বছরে এ বিমানবন্দরে কোনো যাত্রীবাহী ফ্লাইট ওঠা-নামা করেনি। তবে মাঝেমধ্যে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানগুলোকে এটি ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ ও রাশিয়া উভয় দেশই জাতিসংঘসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে সমআদর্শ ধারণ করে। এ সময় রাষ্ট্রদূত ঢাকা ও মস্কোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

রাশিয়ার সঙ্গে বর্তমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন শাহরিয়ার আলম। প্রতিমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সে সময় রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দুটি ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ না করলে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট অন্যরকম হতে পারত।

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ঢাকা ও মস্কোর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন