‘মোবাইল নেটওয়ার্কের সেবার মান খুবই নাজুক’

‘মোবাইল নেটওয়ার্কের সেবার মান খুবই নাজুক’

মোবাইল নেটওয়ার্কের সেবার মান খুবই নাজুক। কল সেন্টারসহ কোথাও মানসম্মত সেবা পাওয়া যায় না। নানা অজুহাতে গ্রাহকের সমস্যা এড়িয়ে যাচ্ছে মোবাইল অপারেটরেরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে টেলিকম সেবা নিয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে টেলিকম বিটের সাংবাদিকেরা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে এসব কথা বলেন। অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেশনস অব বাংলাদেশ (এমটব) অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মতবিনিময়ে সংগঠনটির মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ এক প্রেজেন্টেশনে জানান, বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে মোবাইল ডাটার গতিতে একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ১৩৫তম স্থান থেকে ১৩৪ স্থানে এসেছে দেশের মোবাইল অপারেটররা।

তিনি জানান, মোবাইল ডাটার গতিতে ভারত, পাকিস্তান পিছিয়েছে। ভারত ১২২ থেকে ১২৮তম স্থানে, পাকিস্তান ১১৪ থেকে ১১৭তম স্থানে নেমেছে। আর ৩৭তম স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান।

এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিবসহ সংশ্লিষ্টরা।

নেটওয়ার্ক গতির মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেই স্পেকট্রামের দোহাই দেওয়া হয়। কিন্তু এই স্পেকট্রাম নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বিটিআরসিকে দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে অপারেটরদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিটিআরসিকে ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় মোবাইল অপারেটরের সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেবার মানের অবস্থা খুবই নাজুক রয়েছে উল্লেখ করে একজন প্রশ্ন করেন, কী পরিমাণ নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে তার লিখিত বিজ্ঞাপন দেওয়া সম্ভব কিনা। বিজ্ঞাপনে উল্লেখ থাকবে যে এই এই কারণে এসব এলাকায় এই এই অপারেটরের নেটওয়ার্ক এমন থাকবে। এতে গ্রাহকেরা অনেক খুব খুশি হবেন, তারা বুঝতে পারবেন সার্বিক পরিস্থিতি।

সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, অব্যবহৃত মোবাইল ডাটা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তা ঠিক মতো দেওয়া হয় না। উপজেলা পর্যায়ে নেটওয়ার্কের অবস্থা খুবই দুর্বল। তাছাড়া কিছু কিছু এলাকায় এখনো নেটওয়ার্ক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। কল সেন্টারের সেবার মানও অনেকটা নাজুক। অনেক সময়ে সমস্যার কথা বলতেই তিন থেকে চার মিনিট সময় চলে যায়। এরপরও সমস্যার সমাধান নিয়ে মন মতো উত্তর পাওয়া যায় না।

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম অনেক কম। একটি দেশের অবকাঠামো, জনসংখ্যা ও ব্যবহারকারীদের ওপর নির্ভর করে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া সম্ভব।

আপনি আরও পড়তে পারেন