ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে হয়রানি ও হুমকির প্রতিবাদ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং আটক ছাত্র-যুব নেতাদের মুক্তির দাবিতে ‘নাগরিক সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন।
সভাপতির বক্তব্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল শিক্ষকদের একজন আসিফ নজরুল। ছাত্রলীগ তাকে অপমান করেছে। প্রধানমন্ত্রী আপনার নৈতিক দায়িত্ব আছে। কারণ আপনি আওয়ামী লীগের সভাপতি৷ সভাপতি হিসেবে আপনার নৈতিক দায়িত্ব হলো পাবলিকলি আসিফ নজরুলের কাছে ক্ষমা চাওয়া৷ তাহলে ভালো উদাহরণ সৃষ্টি হবে। আপনার ছাত্রলীগ এখান থেকে আদব-কায়দা শিখবে। আদব-কায়দা না শিখলে জাতির উন্নতি হয় না৷’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনি কথা দিয়েছিলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারী ছাত্রদের নামে কোনো মামলা হবে না। অথচ তিনবছর ধরে সে মামলা ঝুলছে৷ আর নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদ করায় ৫৪ ছাত্রের এখনও জামিন হয়নি৷ শুধু জামিন নয়, সম্পূর্ণ মামলা প্রত্যাহার করা উচিত। তবেই আসিফ নজরুল যে ভয় করেছেন, সেই কাবুলের দৃশ্য দেখতে হবে না। নতুবা কাবুল দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হওয়া আশ্চর্যের কিছু নয়।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদেরর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছাত্র-যুব-শ্রমিক অধিকার পরিষদ ও নাগরিক-ছাত্র-যুব ঐক্যের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।