সেপ্টেম্বর থেকে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে

সেপ্টেম্বর থেকে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে জবরদখলকারী সরকার হিসেবে অভিহিত করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, এই সরকার ডাকাত সরকার। এই সরকার গরিবের শত্রু। যারা ছাত্র আছেন, শিক্ষক আছেন, অভিভাবক আছেন তাদের প্রত্যেকের কাছে বলি ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ফোরামের সঙ্গে আরও ছাত্ররা মিশবেন। যদি অতি দ্রুত জবাব না পান তাহলে সেপ্টেম্বর থেকে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে।

শনিবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ফোরাম আয়োজিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

মান্না বলেন, এই যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার লড়াই, এটা শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নয়, গোটা ছাত্রদের মুক্তি পাওয়ার লড়াই, শিক্ষাকে মুক্ত করার লড়াই। শিক্ষার যদি মুক্তি হয় তাহলে অশিক্ষা, কু-শিক্ষা, দুঃশাসন, ভোট চুরি, জোর করে ক্ষমতা দখল বন্ধ হয়ে যাবে। ওরা গদি ছাড়তে চায় না, ওদের ঠ্যাং ধরে টান দেব। বলব বাবা নাম। যদি না মানে তাহলে এত জোরে টান দেব যে পা খুলেই যায় নাকি ভেঙ্গে যায়, এখন কি আমাদের দোষ?

তিনি বলেন, টাকা পাচারকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেনো? লুটেরা যারা, টাকা পাচারকারী যারা তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। যারা ক্যাসিনো করে, মেয়ে মানুষের ব্যবসা করে, এমন কোনো ব্যবসা নাই, যা তারা করে না। পরীমণির নাম কেনো বলেন? পরীমণি কী ব্যবসা করেছে তা জানি না। ওরা শুধু গরিব মানুষগুলোকে ধরবে। বড়লোকদের ধরবে না।

মান্না বলেন, বেগম জিয়াকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। তিনি ঘর থেকে বের হতে পারেন না। কথা বলতে পারেন না। অথচ যারা হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুট করে নিয়েছে, বিদেশে পাচার করে দিয়েছে, তাদের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, তোমরা সরকারে আছ, তোমাদের বলতে হবে কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে। তোমাদের বলতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কবে খুলবে। কবে হল খুলবে। তোমাদের বলতে হবে কত সময়ের মধ্যে টিকা দিয়ে দেবে। বলতে হবে কবে এদেশের ১৩ কোটি মানুষের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন