সাভারে চাঞ্চল্যকর শিশু রবিউল হত্যাকাণ্ডের আসামী এক কিশোর!!

সাভারে চাঞ্চল্যকর শিশু রবিউল হত্যাকাণ্ডের আসামী এক কিশোর!!
উজ্জ্বল হোসাইনঃ  নিজস্ব প্রতিবেদক
আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-লেস শিশু রবিউল (১০) হত্যাকাণ্ডের পর লাশ গুম করার  মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত একমাত্র হত্যাকারী আরেক শিশু আল আমিন খান (১৫) কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতে কিশোর অপরাধী স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন এই হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আল মামুন কবীর।
এব্যাপারে তিনি জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে শিশু রবিউল হারিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত আল আমিন এর থেকে জানা যায়, রবিউল এর বন্ধু আল আমিন খান এর বাসায় সেদিন সে খেলতে আসে। ওই বাসার সবাই গার্মেন্টসে চাকরী করায় তখন বাসায় কেউ ছিলো না। বাসায় দুই বন্ধু একা একা খেলাধুলা করার সময় কার শক্তি বেশি সেটা পরীক্ষা করতে মারামারি এবং ঘুষাঘুষি করে।একপর্যায়ে রবিউল এর মাথায় সজোরে ঘুষি দেয় আল আমিন।  ঘুষি খেয়ে রবিউল পাকা বিল্ডিং এর ওয়ালে সজোরে মাথায় আঘাত পেয়ে সাথে সাথে পড়ে যায়। এতে আল আমিন ভয় পেয়ে ঘাবড়ে গিয়ে ওই বাড়ির সিঁড়ির নিচে কার্টুন এবং পুরাতন প্যান্ট দিয়ে অচেতন রবিউলকে ঢেকে রাখে। সে ভয়ে কাউকে কিছু বলে না এবং ভিতরে ভিতরে অনুশোচনায় ভুগতে থাকে।
আল মামুন কবীর আরও জানান, এভাবে ঘটনার  তিন দিন পর গত ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে লাশের পঁচা দুর্গন্ধ বের হলে বাড়ীর মালিক পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি স্বজনদের খুঁজে লাশ শনাক্ত করিয়ে সুরতহাল করে লাশের পোস্ট মর্টেমের ব্যবস্থা করি। পরবর্তীতে আশুলিয়া থানায় মামলা [নাম্বার ২৬(৯)২১] রুজু হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হই।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, গতকাল মঙ্গলবার আসামী আল আমিন খানকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদে সে সকল ঘটনা জানায়।  (বুধবার) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। বিজ্ঞ আদালত তাকে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দিলে তাকে সেখানে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ ভাড়া বাসা থেকে সুমন মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম নিখোঁজ হলে এঘটনায় তার পিতা সুমন মিয়া আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর তিন দিন পরে গত রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার সাভারের আশুলিয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর মুন্সীবাড়ি এলাকার আবুল হোসেনের বাড়ির সিঁড়ির নিচ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

আপনি আরও পড়তে পারেন