এবি ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

এলসির বিপরীতে ঋণ নিয়ে ১৩৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের (এবি ব্যাংক) দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়। শিগগিরই দুদকের সহকারী মোহাম্মদ সিরাজুল হক আদালতে চার্জশিটটি দাখিল করবেন বলে সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন : মেসার্স ইয়াসির ইন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. মোজাহের হোসেন এবং এবি ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও পিসিআর শাখার ব্যবস্থাপক মো. নাজিম উদ্দিন ও সাবেক সিনিয়র সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আজাদ হোসেন।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, এবি ব্যাংকের চট্টগ্রামের পোর্ট কানেক্টিং রোড (পিসিআর) শাখা থেকে ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন মো. মোজাহের হোসেন। ২০১৩ সালে এবি ব্যাংকের ওই দুই কর্মকর্তার সুপারিশে ব্যাংকটির পোর্ট কানেক্টিং শাখা থেকে এলসি ঋণের মাধ্যমে বিদেশ থেকে প্রায় ৯৯ কোটি টাকার গম, চাল, ডাল, সার, বীজ, কেমিক্যাল ইত্যাদি পণ্য আমদানি করেন তিনি। যা দেশের বাজারে বিক্রি করলেও ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি মোজাহের হোসেন। ওই ঋণ সুদ-আসলে দাঁড়ায় ১৩৩ কোটি ১৮ লাখ ৯২ হাজার ৬১৭ টাকা।

তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইয়াসির এন্টারপ্রাইজের মালিক মোজাহের হোসেন ২০০১ সালে এবি ব্যাংকের পোর্ট কানেকটিং রোড শাখায় একটি হিসাব খোলেন। ঋণসুবিধা নিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানি ও স্থানীয় বাজার থেকে কিনে বিক্রির ব্যবসা করেছেন। ঋণ অনুমোদনের বিপরীতে তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিন মাত্র ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার ১০ শতক জমি সহায়ক জামানত রাখেন। আমদানি করা খাদ্যসামগ্রী গুদামে মজুত ও বিক্রয়ের বিষয়ে যথাযথ তদারকি না করে অতিরিক্ত উৎসাহ এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকিং কার্যক্রম গ্রহণ করেন অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তারা। ফলে গ্রাহকের জন্য ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন