রূপগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পশ্বি মৌজার একটি জমিতে জোরপূর্বক দখলকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। দখলে চেষ্টাকারীরা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করায় গ্রামবাসিদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে স্থানীয়রা ৯৯৯ তে কল দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আসলেও পরক্ষণেই সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়া দেয়ার যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন প্রকৃত জমি মালিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ২০ নভেম্বর শনিবার দুপুরে উপজেলার গোয়ালপাড়া পর্শ্বি মৌজার জলসিড়ি রাস্তার পাশে এমন ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পর্শ্বি এলাকার বাসিন্দা আরমান মোল্লা জানান, রূপগঞ্জ থানাধীন পশ্বি মৌজার আরএস ৮৩২নং দাগে ১৮শতক জমিতে ক্রয়সূত্রে অপর অংশিদার তারেক আল মামুনসহ ভোগ দখলে নিয়োজিত ছিলেন। তাদের ওই জমিতে সীমানা প্রাচীর করতে গেলে বেআইনিভাবে পার্শ্ববর্তি আরএস দাগ ৮৪৮নং দাগে ৪১ শতকের ভোগ দখলদার রাজধানীর কলাবাগানের বাসিন্দা মৃত নাজমুল হকের স্ত্রী হাছিনা নিজাম ও তার সন্তানদের উপস্থিতিতে অজ্ঞাত আগ্নেয়াস্ত্রধারী ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও স্থানীয় সন্ত্রাসী বাড়িয়ার টেক গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল্লাহর ছেলে সোহাগ (৩০), গোয়ালপাড়া এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে মোজাফফর (৩৭)সহ ১৫ জনের অধিক লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। এতে সীমানা প্রাচীরের কাজ করতে থাকা শ্রমিক সাইফুল ইসলাম সমরকে পিটিয়ে আহত করে। পরে সাইফুল ইসলাম সমরের চিৎকারে গ্রামবাসিরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসির উপর চড়াও হয়। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ৯৯৯তে নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। তবে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা তাদের অস্ত্রসহ মহড়া অব্যাহত রাখায় জমি মালিক ও গ্রামবাসি চরম আতঙ্কে রয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত হাছিনা নিজাম বলেন, আমার স্বামী নাজমুল হক যে জমি আমাদের দেখিয়ে গেছেন তাতেই দখলে যাবো। এতে কারো কথা শুনতে রাজি নই। কারো জমিতে জোর করে যাইনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে জরুরীভাবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এছাড়াও ভুক্তভোগী জমি মালিকের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তা তদন্তাধীণ রয়েছে। তারপরও কেউ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে থাকলে তাদের দ্রুত আইনের আঁওতায় আনা হবে। এয়াড়া উভয় পক্ষকে ডেকে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।