টিকার আওতায় ১২-১৮ বছরের ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী

টিকার আওতায় ১২-১৮ বছরের ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী

সারা দেশের ১ কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার (১০ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন। তাদের মধ্যে টিকা পেয়েছে ৪০ লাখ ৩২ হাজার ৫৬৯ জন। শতকরা ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছে। টিকা নেওয়া বাকি আছে ৭৫ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৩ জনের।

তিনি জানান, জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শেষ করার চেষ্টা চলছে। ৩৯৭ উপজেলায় ১৫ জানুয়ারির মধ্যে, ৩ উপজেলায় ১৭ জানুয়ারি, ৫৬ উপজেলায় ২০ জানুয়ারি, ১৫ উপজেলায় ২২ জানুয়ারি, ৩৫ উপজেলায় ২৫ জানুয়ারি এবং ১১ উপজেলায় ৩১ জানুয়ারির মধ্যে টিকাদান সম্পন্ন করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫১ জন। এর মধ্যে ১ম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ২৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৮ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ১৭ লাখ ১৩ হাজার ৩০২ জনকে। মোট নিবন্ধন করেছেন ২৭ লাখ ৩১ হাজার ২৮৭ জন।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থী আইডি কার্ড নিয়ে করোনার টিকা কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবে। কারো আইডি কার্ড না থাকলে সেক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখালে টিকা দেওয়া হবে। ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যেকোনো শিক্ষার্থী টিকাকেন্দ্রে গেলে টিকা পাবে।

দীপু মনি বলেন, আপাতত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করছি না। আমরা এ মাসের মধ্যেই সব শিক্ষার্থীর টিকার প্রথম ডোজ সম্পন্ন করব। এটি কীভাবে করা যায় সেটি নিয়ে আগামীকাল আবার বৈঠক করব। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আগামী সপ্তাহে আবার বৈঠক করব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাসে পাঠদান চলছে এবং এটি ধারাবাহিকভাবে চলবে।

তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনেশনের প্রতি জোর দেওয়া হবে। যারা টিকা নিয়েছে তারা সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত হবে। যারা এখনো টিকা নিতে পারেনি এবং অসুস্থ আছেন তারা বাসায় বসে অনলাইনে ক্লাসে যুক্ত হবে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন