বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে এবার শান্তিতে ঘুমাবেন বোল্ট-সাউদিরা

বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে এবার শান্তিতে ঘুমাবেন বোল্ট-সাউদিরা

টেস্টে ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। গত সাড়ে ৪ বছরে খেলা ১৭ টেস্টের একটিতেও হারেনি তারা। সে দেশে গিয়ে উপমহাদেশীয় কোন দল টেস্ট জিততে পারেনি বিগত দশ বছর। এবারের সফরের আগে নিউজল্যান্ডে বাংলাদেশ দল ৯ ম্যাচ খেলে হারে সবগুলোই। কিন্তু এবার সব পরিসংখ্যানকে বুড়ো আঙুল দেখায় মুমিনুল হকের দল। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কিউইরা। ক্রাইস্টচার্চে ফলোঅনে ফেলেছে বাংলাদেশ দলকে।

ব্ল্যাকক্যাপরা ৫২১ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণার পর বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দেয় মাত্র ১২৬ রানে। এতে ফলোঅনে পড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। পাঁচদিনের ম্যাচে ৩ দিন হাতে, প্রথন ইনিংসেই নিউজিল্যান্ড এগিয়ে ৩৯৫ রানে। এমন অবস্থায় রাতে স্বস্তিতে ঘুম হবে বলে জানালেন দলটির অভিজ্ঞ পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।

দ্বিতীয় দিন শেষ বোল্ট বলছিলেন, ‘সকালে উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা এবং নতুন বল হাতে থাকা সবসময়ই একটি সুন্দর জিনিস। আমি নিশ্চিত সবাই (বোলাররা) স্বস্তিতেই ঘুমাবে এবং সকালে এই সুবিধা কাজে লাগাবে।’

ঘুরের দাঁড়ানো দলকে নিয়ে বোল্টের ব্যাখ্যা, ‘এটাই টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য। যা বিভিন্ন মাঠ, আবহাওয়া ভেদে সামান্য পরিবর্তন নিয়ে আসে। উইকেটে স্পষ্টতই ঘাসের সাথে কিছুটা বাউন্স ছিলো। ছেলেরা সত্যিই চাপের মধ্যে হার না মেনে যেভাবে শুরু করেছিল। আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো তাদের সামনের পায়ে খেলানো এবং প্রতিটি প্রান্তে একে অপরের জন্য বোলিং করা। যদিও মাত্র অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে, কিন্তু এটি আমাদের কাছে সন্তোষজনক বিকেল ছিল।’

এ ম্যাচের প্রথম ইনিংসে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজকে বোল্ড করে মাত্র চতুর্থ ব্ল্যাকক্যাপস বোলার হিসেবে টেস্টে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন বোল্ট। এই অর্জন ছুঁয়েছেন মাত্র ৭৫তম ম্যাচ খেলে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় তার ওপরে আছেন রিচার্ড হ্যাডলি (৪৩১), ড্যানিয়েল ভেট্টোরি (৩৬১) ও টিম সাউদি (৩২৮)।

বোল্ট বললেন, ‘এটি অবশ্যই অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। তবে আমি নিশ্চিত এই অর্জন আগামী দিনে হারিয়ে যাবে। এমন স্বীকৃতি পারফরম্যান্সের কঠোর পরিশ্রমের গর্ব নিয়ে আসে। আজ বিকেলে টিমিকে (সাউদি) আমার সাথে পাওয়া খুব বিশেষ কিছু। পাশাপাশি ড্যানিয়েল (ভেট্টোরি) এবং স্যার রিচার্ড (হ্যাডলি) এর মতো নামের সাথে যুক্ত হওয়াও বিশেষ কিছু।’

ছেলের এমন অর্জনের দিন ক্রাইস্টচার্চে উপস্থিত ছিলেন বোল্টের বাবা-মা। রোমাঞ্চিত বোল্ট বলেন, ‘আমার বিশেষ মাইলফলক গড়ার দিনে এখানে আমার বাবা-মাকে পেয়ে ভালো লাগছে। তারা আমার জীবনে একটি বড় প্রভাবক।’

 

আপনি আরও পড়তে পারেন