লাভের চিন্তা করলে এবার বিপিএল করতো না বিসিবি

লাভের চিন্তা করলে এবার বিপিএল করতো না বিসিবি

করোনাভাইরাসের কারণে গতবছর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ মাঠে গড়ায়নি। শঙ্কা ছিল এবারও। ওমিক্রন ভয়াবহতা, সময় স্বল্পতা, আবার একই সময়ে মাঠে গড়াচ্ছে আরো দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। এজন্য ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার আনতেও রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়েছে। তবুও বিপিএল আয়োজন থেকে সরে আসেনি বিসিবি। অনেকেই বলছেন আর্থিক লাভের আশায় এমন সিদ্ধান্ত ক্রিকেট বোর্ডের। তবে মানতে নারাজ বিসিবি।

আজ (বৃহস্পতিবার) মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বললেন, ‘আমাদের মূল কথা – দুইটা পার্সপেক্টিভ। আমরা দেখি যে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা এবং যে ভিউয়ার্স সেটা ভালো আছে কিনা। ইকোনমিক, মানে রেভেনিউ জেনারেশনটা মূল লক্ষ্য না। সেটা হলে তো এবার টুর্নামেন্ট করতামই না।’

সঙ্গে যোগ করেন, ‘একটা দল এসে দুই বছর খেললো, তিন বছরে এসে টাকা দিলো না সেখানে লম্বা সময়ের চিন্তা বা মডেল কিভাবে দাঁড়াবে। প্রত্যেকের উইলিংনেসটা কিন্তু থাকতে হবে। এখন একটা প্রিমিয়ার ডিভিশনে দল করতে ৫-৬ কোটি টাকা লাগে, বিপিএল টিম করতে ৮-৯ কোটিতে হয়ে যাচ্ছে। এক সময় এই দল করতে ২৫-৩০ কোটি টাকা লাগত। ইভেনচুয়ালি আমরা যখন লংটার্মে যাব তখন আবার বাড়বে।’

বিপিএলের ৭ মৌসুম চলে গেলেও এখনো শক্ত ভিত তৈরি হয়নি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, বিগ ব্যাশ বা পাকিস্তান সুপার লিগে যেখানে একই ফ্র্যাঞ্চাইজি দীর্ঘদিন প্রতিনিধিত্ব করছে, সেখানে বিপিএলে প্রতি বছরই বদল হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকা এবং দলের নাম। এজন্য অবশ্য পরিস্থিতিকে দুষছেন মল্লিক।

পুরো প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন মল্লিক, ‘আমরা তো ভারতের মতো দেশ না। ভারত যখন চায় তখনই আইপিএল করতে পারে। আবার বিগ ব্যাশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ছাড়া খেলে। আমরা তো ওরকম না। আমাদের একটা ফিক্স স্লট যদি বের করতে পারি লং টার্ম ফ্র্যাঞ্জাইজি মডেলে যাব। আমি কিন্তু বলছি না যে বিগ ব্যাশ মডেলে যাব। আমরা চাই ফ্র্যাঞ্চাইজিরা যে বিভাগের দল নিবে অন্তত সেই বিভাগে তাদের কিছু ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থাকতে হবে।’

 

আপনি আরও পড়তে পারেন