রূপগঞ্জে ছিনতাই বৃদ্ধি

রূপগঞ্জে ছিনতাই বৃদ্ধি

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ

 

রাতের আধারে গলায় ছুড়ি ধরে বলে যা আছে সব দিয়ে যা। না দিলে কোপায়,মারপিট করে। এরপর সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়। প্রতিরাতেই এমন ঘটনা ঘটছে রূপগঞ্জের ঢাকা -সিলেট মহাসড়কের তারাব পৌরসভার খাদুন, বরাব, বরপা, মৈকুলি, বিশ্বরোড এলাকায়। বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক,পথচারী, গাড়ীর চালক -হেলপার ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে। যারা কাজ করে তারা বেশি ছিনতাইয়ের শিকার হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে , তারাব পৌরসভার খাদুন, বরাব, বরপা, মৈকুলি, বিশ^রোড এলাকায় একটি ছিনতাইকারী চক্র রয়েছে। ওরা রাত ৯ টার পর চাকু নিয়ে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করে। বরপা হোটেলের আশেপাশে বসে থাকে। ছিনতাইয়ের পূর্বে পথচারীর পেছনে পেছনে কিছু দূর যায় এরপর ভাই বা বোন বলে ডাক দিয়ে পথচারীর গতিরোধ করে তারপর গলায় চাকু ধরে মোবাইল,টাকাসহ সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গেল ২৯ ডিসেম্বর রাতে বি-ব্রাদাস গার্মেন্টস এর পাশে রাস্তার উপরে মানিক নাম এক শ্রমিকের মোবাইল ,নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তিনি জানান, ছিনতাইকারী গলায় চাকু ধরে কয় যা আছে সব দিয়ে দে।

গত ৩১ জানুয়ারি রাতে তারাব পৌরসভার পাশে রাস্তার উপর থেকে গাজী গ্রুপের এক ট্রাক চালকের গলায় চাকু ধরে মোবাইল ,নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীর দল। ওই চালক রাস্তার পাশে প্রশ্রাব করতে বসেছিলেন। তারপর তার উপর ছিনতাইকারীরা আক্রমণ করে। প্রায়দিনও ওখানে ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া যায়।
সমুন নামে এক ব্যক্তি আমাদের প্রতিবেদককে বলেন, ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তিরা ভাসমান। নিরুপায় হয়ে অনেকে কানতে কানতে চলে যায়। ভয়ে তারা থানায় অভিযোগ দেয় না। তাদের কাছে অভিযোগ দেওয়ার মতো সময়ও থাকে না। স্থানীয়দের উপর খুব কম আক্রমণ করে।

ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া একাধিক শ্রমিক বরপা, তারাব, খাদুন, বরাব, মৈকুলি বিশ্বরোড এলাকায় রাতে পুলিশের টহল বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো: জায়েদুল আলম বলেন, ছিনতাইকারীদের ধরতে আমাদের টিম সাদা পোশাকে কাজ করছে। তারাব পৌরসভার বরাব, বরপা, মৈকুলি এলাকায় আমাদের টহল টিম বাড়ানো হবে। তারপর আর ছিনতাইকারী থাকবে না। ইতোমধ্যে আমরা কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছি।

রূপগঞ্জ থানার ওসি সায়েদ বলেন, ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কোনো অভিযোগ পাই নাই।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন