ভালোবাসতে দিবস লাগে না কি!

ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, এ তথ্য জানতে কারও বাকি নেই। অবশ্যই এখন এই দিনে বাঙালির উৎসবে যোগ হয়েছে আরেকটি মাত্রা। সেটি হলো দিনটি বসন্তেরও প্রথম দিন। তাই দুই উৎসব মিলিয়ে আনন্দ হয় দ্বিগুণ। ভালোবাসার দিনটি নিয়ে অনেকে যেমন আনন্দে উদ্বেলিত হন, অনেকের আবার তেমনই বিরক্তি। তাদের কথা হলো, ভালোবাসতে আবার দিবস লাগে নাকি! আপনি কী ভাবছেন?

ভালোবাসতে দিবস লাগে না একথা যেমন সত্যি, ভালোবাসার জন্য আলাদা একটি দিবস হলে কোনো ক্ষতি নেই একথাও তেমনই সত্যি। আপনি যেকোনো এক দলে যোগ দিতে পারেন। সারা বছর ভালোবাসেন বলে একটি দিন একটু বিশেষভাবে কাটানো যাবে না, তা তো নয়! তাই প্রিয়জনের জন্য এই দিনে সাজাতে পারেন চমক ও ভালোবাসার ডালি। আপনার একটুখানি আগ্রহ ও আয়োজনে যদি সে খুশি হয়, ভালোবাসা আরেকটু গাঢ় হয়, তবে হোক না!

ভালোবাসা দিবসের শুরুটা যেভাবেই হোক, এখন আর সেটি নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আটকে নেই। শুধু প্রেমিক বা প্রেমিকার জন্য নয়, দিনটি সার্বজনীন ভালোবাসার। অনেক ‘পাগলাটে’ তরুণ কিংবা তরুণীকে দেখবেন এই দিনে সুবিধাবঞ্চিত শিশু, শ্রমজীবী মানুষদের গোলাপ উপহার দিচ্ছেন। ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়ার এই মন্ত্র জনে জনে উচ্চারিত হওয়ার দিনই ভালোবাসা দিবস।

ভালোবাসা হলো এমন একটি সম্পদ যা বিলিয়ে দিলে আরও বাড়তে থাকে। যত বেশি ভালোবাসবেন, হৃদয় ততই প্রসারিত হবে। আপনার একটুখানি ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হতে পারে পুরো পৃথিবী। আপনি ভালোবেসে যে চারাটি রোপন করলেন, সেটি বড় হয়ে ফুল ফোটাবে, সুগন্ধে সুরভিত করবে চারপাশ, সে কি আপনার কৃতিত্ব নয়! ভালোবাসা দিবসের ধরাবাধা কোনো ছন্দে আটকে না থেকে নিজের মতো করে ভালোবাসতে শিখুন। যেন আপনার ভালোবাসায় বিমুগ্ধ হয়ে মানুষেরাও আরও বেশি ভালোবাসতে শেখে

ভালোবাসা দিবস পালন না করুন, কেক না কাটুন, ফুল না দিন- একান্তই আপনার ইচ্ছে। এখানে জোর করার কিছু নেই, চাপিয়ে দেওয়ারও কিছু নেই। কিন্তু দিনটি যে ভালোবাসার, সেটি মেনে নিয়ে সারা বছরের জন্য ভালোবাসা হৃদয়ে জমিয়ে রাখলেও তো ক্ষতি নেই! আপনার কথার কারণে কেউ আহত না হোক, আপনার দৃষ্টি কারও অস্বস্তির কারণ না হোক, অন্যের দুঃসময়ে ভরসা হয়ে থাকুক আপনার ছায়া। ভালোবাসা দিবসে এটুকু প্রতীজ্ঞা তো আপনি করতেই পারেন। যদিও ভালোবাসতে দিবস লাগে না, তবু সবগুলো দিবস ভালোবাসার তো হতে পারে!

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন