ব্যাংক-মন্দিরে ডাকাতির পরিকল্পনা যেভাবে নস্যাৎ করল ডিবি

ব্যাংক-মন্দিরে ডাকাতির পরিকল্পনা যেভাবে নস্যাৎ করল ডিবি

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা স্বপ্নধরা এলাকায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতির পরিকল্পনা করছে বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের কাছে তথ্য আসে।

সংবাদ পাওয়ার পর ডিবি তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহাদত হোসেন সুমার নেতৃত্বে একটি দল বছিলা স্বপ্নধরা এলাকায় অভিযান চালায়।

অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন মো. ইব্রাহীম চৌধুরী, মো. লোকমান হাকিম, মো. রিপন খান ও মো. মাহবুব মিয়া ওরফে মাবুদ মিয়া।

রোববার বিকেলে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহাদত হোসেন সুমা।

মো. শাহাদত হোসেন বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বাসে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের জিজ্ঞাসাবাদে নতুন এ ডাকাত দলের বিষয়ে আমরা তথ্য পাই। সবশেষ শনিবার বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় সংবাদ আসে, মোহাম্মদপুরের বছিলা স্বপ্নধরা এলাকায় কয়েকজন লোক ডাকাতির পরিকল্পনা করছে।

dhakapost

তিনি বলেন, খবর পেয়ে রাত ৯টায় ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। আমাদের উপস্থিতি বুঝে ডাকাত দলটির সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি চাপাতি, দুটি লোহার ছোরা ও চারটি ভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানিয়েছেন, তারা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার কৃষি ব্যাংক ও মোকসেদপুর মন্দিরে ডাকাতির পরিকল্পনার করছিলেন। তবে গোয়েন্দা নজরদারির কারণে ডাকাতি সংঘটিত হবার আগেই আমরা তাদের সে পরিকল্পনা ভেস্তে দিই। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রিপন উত্তরা পশ্চিম থানার বাস ডাকাতির আসামি।

মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ডিবির এ কর্মকর্তা।

আপনি আরও পড়তে পারেন